ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচর থেকে সমপ্রতি এক ব্যতিক্রমী সংস্কৃতিকর্মীর দল এসেছে। তারা শিলচরের ইন্দো-বাংলা মৈত্রী সমিতির প্রতিনিধিত্ব করছে। ২১ ডিসেম্বর এই ইন্দো-বাংলা মৈত্রী এবং সিলেটের টিপাইমুখ প্রতিবাদী মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তারা টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন এবং বক্তব্য প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে। ঢাকায়ও তারা পালন করেছে অনুরূপ কর্মসূচি। এই দলে রয়েছেন ইন্দো-বাংলা মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক শুভদীপ দত্ত, সহসভাপতি রামকৃষ্ণ বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনুপ কুমার রায় বর্মণ এবং অন্যরা।

ঢাকায় এসে ভারতীয় পরিবেশবাদীদের বিরোধিতা ও বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা এবং ড. গওহর রিজভীর আহ্বান আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে টিপাইমুখ সম্পর্কিত এই নিবন্ধ রচনায়। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ইদানীং ভারতের প্রসত্দাবিত টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে দিলি্লতে সমপ্রতি তাঁদের এ সম্পর্কিত দৌত্যের ফলাফল জানিয়েছেন। তিনি টিপাইমুখ সম্পর্কে ‘যৌক্তিক ও বৈজ্ঞানিক আলোচনা’র অনুরোধ জানিয়েছেন। আমার প্রথমকথাই হবে, মন্ত্রী পর্যায়ের দুই উপদেষ্টা দিলি্লতে গিয়ে কি আলোচনা করলেন, কি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এলেন, তা তো বুঝতে পারলাম না। পুরোনো কথারই পুনরাবৃত্তি, সেই অলীক আশ্বাসের বার্তা। তিনি কি শুধু এই কথাই শুনতে গিয়েছিলেন, যা শারম আল-শেখ, দিল্লি ও ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, টিপাইমুখে ভারত এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়।

শুধু এটা শোনার জন্য কি দিল্লি যাওয়ার প্রয়োজন ছিল? আর গেলেনই যখন, তখন কয়েকজন বোদ্ধা আর বিশেষজ্ঞ নিয়ে গেলে কি হতো? তারা ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে ড. রিজভীর আরেকটি উপদেশমতো ‘সরেজমিনে অনুসন্ধানী ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা’য় নিয়োজিত হয়ে ‘সত্যনিষ্ঠ গবেষণা প্রতিবেদন’ প্রকাশ করার অবকাশ পেতেন। ‘জয়েন্ট সার্ভে’ এবং তথ্য-উপাত্তভিত্তিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনা তো বহুকাল থেকেই বাংলাদেশের প্রসত্দাব ছিল। ভারত কি তার কোনও সদুত্তর দিয়েছে বা আয়োজন করেছে? দুঃখের বিষয়, কেউ আমাদের আশ্বাস দিল আর আমরা দুগ্ধপোষ্য শিশুর মতো তা মেনে নিলাম। যেন আমাদের লাভ-ক্ষতির বিচার করার সাধ্য আমাদের নেই। তাই বলে দিতে হয় অভিভাবককে। এটাও তো এক অগ্রহণযোগ্য অবস্থা।

ড. রিজভী আরও নসিহত দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে কোনও দেশের প্রধানমমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস, সেই রাষ্ট্রের কাছ থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার পাওয়ার শামিল এবং একে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। ড. রিজভীর আরেক বক্তব্য এই প্রকল্পে বাংলাদেশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ হতে পারে এবং শুষ্ক মৌসুমে বেশি পানি পেতে পারে, তা যে কত অসার তা ড. আকবর আলি খানের প্রথম আলোয় প্রকাশিত গবেষণাভিত্তিক নিবন্ধে তুলে ধরা হয়েছিল।

ড. রিজভী বলেছেন, প্রস্তাবিত বহুমুখী প্রকল্পের স্থান ও দূরত্ব সম্পর্কে ঠিকমতো অবহিত হওয়া এবং আসামের কাছাড় জেলার অন্য কোনও স্থানের সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলা দরকার। আমার ভয় হচ্ছে, তিনিই তো তা গুলিয়ে ফেলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মতো আসাম ও নাগাল্যান্ড হলো নিম্ন অববাহিকার অঞ্চল এবং বাংলাদেশে ঢোকার আগে বরাক নদ এসব রাজ্য পেরিয়ে আসে। এই দুই রাজ্যের সরকার টিপাইমুখ প্রকল্পের আপত্তি তো করেইনি বরং একে স্বাগত জানিয়েছে।’ আমার জানামতে, বরাক নদ উৎপত্তিস্থল থেকে নাগাল্যান্ড-মণিপুরের সীমানা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মণিপুরে প্রবেশ করে চূড়াচাঁদপুর জেলার টিপাইমুখে পৌঁছেছে। ওখানেই মিজোরাম থেকে আসা টুইভাই নদীর সঙ্গম। এর ৫০০ মিটার ভাটিতেই প্রকল্পের উঁচু ড্যাম। নাগাল্যান্ড তো বাঁধের বেশ উজানে। ওরা আপত্তি করবে কেন?

বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রকল্পের দূরত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের ইনস্টিস্টিউট অফ ওয়াটার মডেলিং (IW) যে বিস্তারিত Hydro logecal Impact Study of Tipaimukh Dam Project of India on Bangladesh. সেখানে  Central Water Commission of India এবং North Eastern Electric Prower Corporation Ltdপ্রজেক্টের সপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের ১০০ কিলোমিটার উজানে ড্যামের নিয়ন্ত্রিত পানি সরবরাহ ব্যবস্থার কল্যাণে কাছাড় সেচ প্রকল্পের জন্য কোনও স্ট্রাকচার তৈরি করে ওখান থেকে পানি সরবরাহ করা যেতে পারে। উঁচু ড্যামের অবস্থান হবে ওখান থেকে ৯৫ কিলোমিটার উজানে। কেউ কেউ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার আর কেউ কেউ ১৯৫ কিলোমিটার ধরছেন। ড. রিজভী বলছেন, ১৪০ মাইল। তাঁর বক্তব্যের উৎসটা জানতে হবে। পাখি-ওড়া দূরত্বে তা আরও অনেক কম হওয়ার কথা। নাগাল্যান্ডের কথা নিয়ে এসে আমার মনে হয়, ড. রিজভী অনেকটা ব্যাপার গুলিয়ে ফেলেছেন। বাস্তবঅর্থে দূরত্ব নির্ভর করবে কোথায় প্রজেক্টটির বা তার সহযোগী প্রকল্পের স্ট্রাকচার নির্মিত হবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিশেষজ্ঞদের যুগপৎ পরিদর্শন এবং সামগ্রিক তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ প্রজেক্টটির অবস্থান এবং এর আনুষঙ্গিক সব তথ্য সম্পর্কে অবহিত করত। কিন্তু তা হয়নি।’ প্রকল্পটি যে বাংলাদেশের খুবই কাছাকাছি এবং এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশের কোনওই নিষ্কৃতি নেই, তা একদম পরিষ্কার।

ড. রিজভীর দূরত্বের যুক্তি এখানে অচল, ‘কেননা ১০০ কিমি বা ১৯৫ কিমি দূরত্ব যা-ই হোক না কেন, তা বিশেষ কোনও কার্যকরী পার্থক্য করবে না, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। তাছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা, ভারতেরই একজন স্থানীয় বিশেষজ্ঞ কথাটি তুলেছিলেন। ওখান থেকে কাছাড় জলসেচ বা কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। ওটা টিপাইমুখ প্রকল্পের হয়তো সরকারিভাবে অঙ্গ হবে না। তবে সেখানে পানি সরবরাহ হবে কিভাবে? টিপাইমুখ বহুমুখী প্রকল্প ঘোষিতভাবেই শুধু বিদু্যৎ উৎপাদন কেন্দ্রই নয়, তা বন্যা নিয়ন্ত্রণমূলকও বটে। শুধু তাঁর নয়, অনেকেরই ধারণা, বন্যা নিয়ন্ত্রণের নামে কিংবা প্রয়োজনে, টিপাইমুখ ড্যাম জলাধার থেকে কাছাড় জলসেচ কিংবা কৃষি প্রকল্পের পানি সরবরাহ করা হবে। তারই জন্য হয়তো অমলশিদ থেকে ১০০ কিমি উজানের প্রসত্দাবিত স্ট্রাকচারের কথা সংগত কারণেই উঠে এসেছে। ড. রিজভী বা বাংলাদেশ সরকার কিভাবে নিশ্চিত হয়েছেন যে, এ ধরনের কিছু কথা হচ্ছে না। এটা প্রমাণের দায়দায়িত্ব তো তাঁদেরই, কেননা তারাই তো সাফাই গাইছেন আর হয়তো বা এ কারণেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সরেজমিনে যৌথ সমীক্ষা পরিহার করে চলেছেন।

ড. রিজভী আরও বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পরিবেশগতভাবে নাজুক এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার শিকার, যে অঞ্চলে বিপন্ন জনগোষ্ঠী ও প্রাণিকুল দ্রুতগতিতে প্রাকৃতিক আবাসস্থল হারানোর চাপে রয়েছে, সেখানে প্রাণবৈচিত্র্যের গুরুত্ব কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যায় না।’ অত্যন্ত খাঁটি কথা। বাংলাদেশে মেঘনা অববাহিকায়, হাওড়াঞ্চলে, মণিপুর-কাছাড়ের কোনও কোনও অঞ্চলে এই প্রকল্পজনিত পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা জেনেও তাহলে টিপাইমুখ হচ্ছে কেন? উত্তর সহজ, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎশক্তির চাহিদা মেটাতে। সে জন্যই তো তাদের বোঝানো দরকার। ড. রিজভী অবশ্য আরও নসিহত দিয়েছেন, ভারতের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এ বিষয়ে গবেষণাকর্ম পরিচালনা এবং নীতি প্রণয়নে নিরলস কাজ করছে। আমাদের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোরও উচিত দুই দেশের স্বার্থেই এই প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সম্পূর্ণভাবে বোঝা এবং তা সুরক্ষার জন্য কাজ করা। আর সেটাই তো হচ্ছে।

কমবেশি দুই দেশের স্থানীয় পরিবেশবাদীরা তো তা-ই বলছেন। ভূমিকম্পপ্রবণ এই এলাকায় এ ধরনের উঁচু বিরাট বাঁধ নির্মাণের যে মহাঝুঁকি রয়েছে তা সর্বসম্মত। অথচ রিজভী বলছেন, ‘তবে এটাও মনে হয় না যে, ভারতের সরকার…তাদের নিজেদের নাগরিকদের জীবন ও বসতি বিপন্ন করে ঝুঁকি নিতে চাইবে।’ মনে হলেই তো হবে না। ভারতের পরিবেশবাদীরা এবং আমাদের পরিবেশও পানি বিশেষজ্ঞরা সে কারণেই প্রতিবাদী হয়েছেন। কমবেশি তারা এই কথাই বলছেন, এখানে ভূমিকম্পজনিত মহাক্ষতির আশঙ্কা প্রবল, পরিবেশের ভারসাম্য এবং জীববৈচিত্র্য এতে নষ্ট হবে, নদীর ওপর জীবন ও জীবিকা নির্ভরশীল মানুষের জীবন অচল হবে, নাব্যতা ব্যাহত হবে, লোনা পানি ঢুকবে আর বিশেষ করে বাংলাদেশে হাওড় এবং কৃষিকাজ বিপন্ন হয়ে উঠবে। ভারতের প্রতিবাদী আন্দোলনকারী সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো হলো কমিটি অন পিপলস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (কোপ), কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, অল আসাম মইব পাইবি, ইন্দো-বাংলা মৈত্রী সংগঠন, সারা মণিপুরি ছাত্রসংস্থা, সারা আসাম ডিমাসা (আদিবাসী), ছাত্র ইউনিয়ন এবং আরও অনেকে।

এটা অনস্বীকার্য যে, অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা প্রদানে ভারতীয় সরকারের রেকর্ড অত্যন্ত খারাপ। তারাই তো বলেছিল, ফারাক্কায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রসত্দহবে না। পরীক্ষামূলকভাবে তারা কিছুদিন চালাতে চেয়েছিল। পশ্চিম বাংলাদেশ প্রায় মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে, গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পাধীন এলাকা সেচের অভাবে মৃতপ্রায়, পদ্মার বুকে এখন ধু ধু বালুচর, তবুও এঙ্পেরিমেন্ট আর শেষ হলো না। ৩৮ বছর হয়ে গেল। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তি অনুসারেও আমরা পানি পাচ্ছি না। গজলডোবা ব্যারাজে আটকে রয়েছে তিস্তার পানি। তিস্তা চুক্তি এখনও সুদূরপরাহত মনে হয়। মনু নদীর নালকাটায় নির্মিত আরেক বাঁধ ।

পৃথিবীর জনমত এবং বিশেষজ্ঞ অভিমত বর্তমানে বাঁধবিরোধী। বিশেষকরে কো-রাইপেরিয়ান বা ভাটির অংশীদারের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। শোনা গিয়েছিল, চীন সাংপো (ব্রহ্মপুত্র) নদীতে বাঁধ দিতে চাচ্ছে। ভারত প্রতিবাদ জানাল। বাংলাদেশ থেকেও উঠল প্রতিবাদী সুর। চীন অবিলম্বে সেটা বন্ধ করে দিল। ভারত তাতে সন্তোষ প্রকাশ করল। এটাই তো হওয়া উচিত আইনসম্মত রীতিনীতি। পরিবেশবাদীদের প্রতিবাদে মিয়ানমার সরকার (সেপ্টেম্বর, ২০১১) অতি সমপ্রতি সেদেশে চৈনিক সহায়তায় নির্মিতব্য ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ইরাবতী ড্যাম প্রজেক্টের নির্মাণ বন্ধ করে দিল। টিপাইমুখ নিয়ে বাংলাদেশের এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (বেন) অনেক প্রশ্ন তুলেছে। ওয়াটার মডেলিং ইনস্টিস্টিউট নিরীক্ষামূলকভাবে বলেছে কিভাবে বহমান পানির পরিমাণ হ্রাস এবং অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এগুলোর কোনও সদুত্তর ভারত সরকার দেয়নি।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুসারে, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে আপার সুরমা-কুশিয়ারা রিভার প্রজেক্ট, সুরমা রাইট ব্যাংক প্রজেক্ট, সুরমা-কুশিয়ারা বাউলাই বেসিন প্রজেক্ট এবং কুশিয়ারা-বিমনা ইন্টার-বেসিন প্রজেক্ট চরমভাবে ক্ষতিগ্রসত্দ হবে। হাকালুকি ও মুড়িয়া হাওড় অনেকাংশে ক্ষতিগ্রসত্দ হবে এবং কোনও কোনও হাওড় অস্তিত্বই হারাতে পারে। এবং এসব আশঙ্কার ভিত্তি বা কারণও বর্ণনা করা হয়েছে। ড. রিজভীর লেখা কিংবা ভারতীয় সরকারের কোনও রিপোর্টে বা অন্য কোনও প্রবক্তার জবানিতেএর কোনও সদুত্তর বা ব্যাখ্যা নেই । ড. রিজভী একে গতিশীল জলপ্রবাহ (Run-of-the river) প্রজেক্ট বলেছেন। কিন্তু এ জাতীয় প্রতিবন্ধকতা থাকলে বা জলাধারে পানি সঞ্চয় করলে এটা সেই সংজ্ঞায় পড়ে না। এরও কোনও বিশদ ব্যাখ্যা নেই।

নিঃসন্দেহে টিপাইমুখ বহুমুখী প্রজেক্ট নিয়ে আমাদের আরও গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন। আর সত্যনিষ্ঠ হতে হলে প্রয়োজন বাঁধের বাস্তবায়ন সূচনার পূর্বেই যৌথ সমীক্ষা। আর এ ব্যাপারে জাতীয় স্বার্থে দলমত-নির্বিশেষে মতৈক্য গড়ে তোলা। দেশের স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে জাতি হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ এককণ্ঠ হতে চাই। আমাদের দাবি, সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিক। সরকার এবং ড. রিজভী এবং তাঁর সহযোগী কতিপয় মন্ত্রীকে আমাদের অনুরোধ, টিপাইমুখের অগ্রিম সাফাই না গেয়ে প্রথমেই, বাস্তবায়ন প্রচেষ্টা শুরুর আসেই যৌথ সমীক্ষার ব্যবস্থা করুন। তারপর অন্য কথা।