টক চেরি খেতে ততটা সুস্বাদু না হলেও টক চেরি সারা পৃথিবীতেই বেশ জনপ্রিয়। ইংরেজিতে Morello বা Sour Cherry নামেই পরিচিত। গাছ প্রজাতিভেদে গুল্ম থেকে শুরু করে আট মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কোনো কোনো জাতের গাছ পাতা ও ডালপালায় বেশ ঝোপালো ধরনের। পাতা ৮ থেকে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা, আগা আয়তাকার বা তীক্ষ। ফল দুই সেন্টিমিটার, সাধারণত লালচে বা কালো।

টক ও মিষ্টি চেরির গাছ প্রায় একই রকম। পার্থক্য শুধু স্বাদে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৫০টির বেশি জাতের টক চেরির চাষ হতো। এপ্রিকট, চেরি ও নাশপাতির ফুল দেখতে প্রায় একই রকম। কিন্তু ফুল দেখে ফলের জাত আলাদা করা কঠিন। সারা পৃথিবীতে চেরি ফুল ও ফলের এতই রকমফের যে একটির সঙ্গে অন্যটির পার্থক্য অতি সূক্ষ্ম।

আমাদের দেশে চেরি ফল খুব একটা দেখা যায় না। জানামতে, হুমায়ূন আহমেদের নুহাশপল্লী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মপ্লাজম সেন্টারে দুটি গাছ আছে। কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহেও থাকতে পারে। হিমালয়ের পাদদেশে বার্ড চেরি নামে একধরনের চেরি হয়। হিমালয়ের উদ্ভিদরাজ্যে ড্যালটন হুকার গ্রন্থে দ্বিজেন শর্মা লিখেছেন, ‘স্থানীয় ইংরেজরা বার্ড চেরি জারিয়ে রাখে ও ফল থেকে চমৎকার চেরি ব্র্যান্ডি বানায়।

-prothom alo