বাংলাদেশ কতোটা বদলেছে তার নানা ধরনের মাপকাঠি আছে।  জীবনযাত্রার মান, মাথাপিছু আয়, শিক্ষার হার, জাতীয় প্রবৃদ্ধি এসব নানা সূচকে আমরা বাংলাদেশের মানুেষর জীবনযাপনের পরিবর্তনকে মেপে থাকি। আমরা যারা ষাট অতিক্রম করেছি বা যারা এর চাইতে একটু কমবেশি বয়সী তাদের জন্য বিশেষ করে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের রূপান্তরটা ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হওয়ার কথা। আমার নিজের কাছে এখন পুরো দেশটাকে অনেক বদলে যাওয়া দেশ বলে মনে হয়।

শহরে এ পরিবর্তনটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচকভাবে চোকে পড়ে। মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ও যানজট অনেক সময়েই ভালো লাগাটাকে মন্দতে পরিবর্তন করে দেয়। গ্রামের রূপান্তরটা তুলনামূলকভাবে বেশি চোখে পড়ে। আমি যে এলাকার মানুষ সেই এলাকার রূপান্তর তো চমকে দেয়ার মতো। আমি ভাবি আমার প্রয়াত দাদা মুন্সি আলিমুদ্দিন তালুকদার যদি এখন আমার গামে এসে এক মাথা থেকে আরেক মাথায় হেঁটে যেতেন তবে তার চোখ কপালে ওঠা ছাড়া আর কোন গতি ছিল না।

তার জীবনটা ছিল এরকম : তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীরনগর থানায় জন্ম নিয়েছিলেন। সেখানে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু সেই স্ত্রীকে রেখেই নিজের ভাগ্য অন্বেষণে চলে এসেছিলেন হাওর অঞ্চলে। সেটি দুই শতক আগের ঘটনা। সেখানে এসে আবার বিয়ে করেন এবং আমার দাদি আদির মা একেবারে শূন্য থেকে তালুকদার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেন।

সেই গ্রামটি দেখতেই কদিন আগে, গত জুন মাসে, আমি আমার পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছিলাম। ছোট ভাই রাব্বানী জব্বার বাড়িতে একটা মসজিদ বানিয়েছে। এ গ্রামেরই মেয়ে সুনন্দার স্থাপত্য নকশায় তৈরি মসজিদটি। মসজিদটার জুমার নামায়ের সূচনা করতে বাড়ি যাওয়া। বাবা বেঁচে থাকলে এই কাজে আমাকে যেতে হতো না। বাবাই সবকিছু শুরু করে দিতেন। কিন্তু বাবা নেই বলে আমাকেই এ কাজটি করতে হয়।

অনেক দিন পর বাড়িতে যাওয়া। মা মারা যাওয়ার পর আর বাড়ি যাইনি। মা থাকতে কারণে অকারণে বাড়ি যেতাম। কোন কোন সময় সপ্তাহ দুয়েকও থাকতাম। মার হাতের রান্না আর মায়ের যত্ন ষাট বছর বয়সেও ভালো লাগতো। এখন তো অন্য দশা। বাড়িতে ভাত-তরকারি রান্না করে খাওয়ানোরও কেউ নেই। ছোট ভাই কিবরিয়া যতদিন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিল ততদিন বাড়িতে একটা রমরমা ভাব ছিল, এখন তো সেও ঢাকাতেই বেশি সময় থাকে। তবুও যেতে হয়েছিল। অসুবিধা হয়নি এজন্য যে, ছোট ভাই-এর স্ত্রী ও আমার চাচাতো বোন রাকিয়া আমাদের সঙ্গেই বাড়ি গিয়েছিল।

এবার মনে হলো একেবারে নতুন করে দেখলাম গ্রামটা। একদম নতুন। সেই গ্রাম; যেখানে আমার শৈশব কেটেছে। সেই গ্রাম; যেখানে আমার পিতা-মাতার কবর। সেই গ্রাম; যার ওপর আমার একাত্তর দাঁড়িয়েছে। সেই গ্রাম; যে গ্রামটাকে আমার নানা উত্তইরা ভূতের বাড়ি বলতেন। সেই গ্রাম; যাকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠেছিল আমার স্বপ্নের ভিত। এখন হয়তো আর সেই গ্রামে যেতে মন চায়না- কিন্তু এক সময়ে সারা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল সেই গ্রামটাকেই মনে হতো। কতো কষ্ট করে যেতে হতো- তবুও যেতাম। মা ছিলেন যে!

নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী থানার কৃষ্ণপুরে আমার পৈতৃক বাড়ি। এটি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত হাওর এলাকার গভীরে অবস্থান করে। ইতিহাস বলে এটি প্রাচীনকালের কালিদহ সাগরের অংশ ছিল। দেশের ৭টি জেলার যে কয়টি উপজেলার পুরোটাই হাওরে তার মাঝে খালিয়াজুরী একটি। ৯০টি গ্রামের এ উপজেলাটিতে উপজেলা সদর, সাতগাঁও নামক একটি গ্রাম ও আমার গ্রাম কৃষ্ণপুর ছাড়া আর কোথাও সারাবছর চলার মতো ৪ কিলোমিটারের বেশি সড়কপথ এখনও নেই। বলা হয়ে থাকে যে, একটি ভূমিকম্পে এ অঞ্চলটি তৈরি হয়েছে। এ অঞ্চলটি প্রত্যন্ত ও দুর্গম বলে দুশো বছর আগেও এখানে জনবসতি ছিল না বলা যায়। ভৈরবের ভাটি থেকে বিপুল পরিমাণ মানুষ সেই সময়ে ওই এলাকায় বসবাস করা শুরু করে যারা আবাদি নামে পরিচিত। আমার দাদাও তেমন একজন আবাদী।

এই গ্রাম থেকে ঢাকা আসতে এক সময়ে ৩ দিন সময় লাগতো। এর মাঝে ২৫ কিলোমিটার পথ ছিল যেটুকুতে হেমন্তকালে হাঁটা ও বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া বিকল্প কোন উপায় এখনও নেই। এই পথটা হেঁটে পাড়ি দিতে একদিন যেত। পরের দিন লেগে যেত লঞ্চে-আজমিরীগঞ্জ থেকে ভৈরব। এর পরের দিন ভৈরব থেকে ট্রেনে ঢাকা আসতে হতো। আমার নানার বাড়ি ছিল আশুগঞ্জে। নৌকায় যদি আসতাম তবে পুরো ২ রাত ৩ দিন নৌকায় থাকতে হতো। এবার ঢাকা থেকে বাড়ি গেলাম আট ঘণ্টায়। সড়কপথে সাত ঘণ্টা আর নদীপথে এক ঘণ্টা। সামনের দুয়েক বছরে নদীপথটার আর দরকার হবে না। গাড়ি নিজের বাড়ির ওঠান্ইে যাবে।

১৯৬১ সালে আমি আমার বাড়ির চারপাশে একটি হাইস্কুল পাইনি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার জন্য। সেই সময়কার হাওরের বিবরণ তুলে ধরা হলে মনে হবে যে, এটি মানুষের আদি সভ্যতার সময়কালের কথা বলা হচ্ছে। হতে পারে আমাজনের জঙ্গল। আমি আমার পুরো গ্রামে একজন মাত্র মানুষকে জুতা পায়ে দিতে দেখতাম- সেটি আমার বাবা। পুরো গ্রামের কোন মানুষকে ব্রাশ বা পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজতে দেখিনি। গ্রামটিতে দুয়েকটা টিনের ঘর ছাড়া সব ঘরই ছিল ছনের। আমার এক চাচার একটি দোতলা দালান ছিল। বৈশাখ মাসের শুরুতে গ্রামের মানুষের প্রধানতম কাজ ছিল হাওর থেকে ছন কেটে এনে ঘরের ছাদ ঠিক করা। আমার নিজের গ্রামে লেখাপড়ার হার বলতে কিছু ছিল না। আমার চাচাতো ভাইদের মাঝে আমার আগে মোট ৪ জন ম্যাট্রিক পাস করেছেন। এদের একজন এইচএসসি পাস করেছেন। আমার সঙ্গে আরেক চাচাতো ভাই এসএসসি পাস করেন। আমাদের গ্রামের প্রথম গ্র্যাজুয়েট ছিলেন আমার ফুফাতো ভাই, যিনি আবার আমার বড় বোনের স্বামীও। আমার আগে অন্য বাড়ির মোট ২ জন ম্যাট্রিক পাস করেন। এছাড়া আর কেউ কোন পাস-টাস করেনি। গ্রামে মেয়েদের লেখাপড়া নামক কিছু ছিল না। আমার চাচাতো বোনেরা কেউ প্রাথমিক বিদ্যালয় অতিক্রম করেননি। গ্রামের প্রথম মহিলা স্নাতক আমার ছোট বোন হেলেন। আর মেয়েদের মাস্টার্স পাস করা, প্রকৌশলী, স্থপতি বা ডাক্তার হওয়ার পালাটা আমাদের সন্তানদের সময় থেকে শুরু হয়েছে। গ্রামের মেয়েদের ১২-১৪ বছর বয়স হলেই বিয়ে দেয়াটা অতি সাধারণ ঘটনা ছিল। আদিবাসীদের মতো গামছার লেংটি পরা মানুষ হাওরে চোখে পড়তোই।

প্রতিবছর চৈত্র মাসে পুরো এলাকায় দুর্ভিক্ষ বিরাজ করতো। গ্রামের মানুষের কাছে সুপেয় পানি বলতে কিছু ছিল না। স্যানিটেশন ব্যবস্থা নামক কিছু কেউ জানতো না। প্রায় দুশ বছর আগে গ্রামে প্রথমে একটি মক্তব চালু হয়। আমার দাদা আলিমুদ্দীন মুন্সি সেটি চালু করেন। এরপর চালু হয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এক সময় কবরস্থান ছিল না বলে মানুষের লাশ ভাসিয়ে দিতে হতো। পরে কবরস্থান ও ঈদগাহ দুটিই গড়ে ওঠে। বাবা গড়ে তুলুন দুটিই। আমি যখন ১৯৬০ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার সঙ্গে আমাদের গ্রামের একজন ছাত্র ছিলেন। পাশের গ্রামের দুজন ছাড়াও বাইরে থেকে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা একজন ছাত্রী আমার সঙ্গে পড়তেন। পুরো গ্রামটা খালে ভরা ছিল। মানুষ এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি সাকোতে যেত। কৃষিপ্রধান বলে গরু বাছুরতো ছিলই-জ্বালানির জন্য গোবরের চট লেপা একটি অতি সাধারণ কাজ ছিল। গ্রামে একটি হাট ছিল। সেই হাটে কাপড় কাচার বল সাবান, তেল, গুড় ও অতি প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ছাড়া আর কিছু পাওয়া যেত না।

যারা বাংলাদেশের হাওর এলাকা সম্পর্কে জানেন তাদের অবহিত থাকার কথা যে, এলাকাটি কেবল নিম্নাঞ্চল নয়, প্রত্যন্ত ও দুর্গম। ভৈরব রেল সেতুর নদী শাসনের জন্যও এ এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। সম্ভবত হাজার বছর আগেও এখানে কোন বসতি ছিল না। গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এ অঞ্চলটি জঙ্গলাকীর্ণ থাকায় মানুষ বসবাস করতে পারতো না। স্থানীয়রা সংখ্যায় কম থাকায় এখন বস্তুত এ আবাদীদেরই প্রভাব বেশি। মূলত নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দ্বারা অধ্যুষিত এ এলাকায় এখন অবশ্য আবাদি-মুসলমানের সংখ্যা ব্যাপক।

সেই এলাকাটির নতুন রূপ এরকম : পুরো এলাকা ঘুরে একটি ছনের ঘর পেলাম না। সত্যি সত্যি কৃষ্ণপুর গ্রামতো নয়ই তার পাশের গ্রাম কল্যাণপুর, মামুদনগর; কোথাও একটি ছনের ঘর নেই। মনে পড়ে, প্রতিবছর কার্তিক মাসে মহামারী লেগেই থাকতো। গ্রামের পর গ্রাম কলেরায় উজাড় হয়ে যেত। বাবাকে দেখতাম দিনের পর দিন মানুষের বাড়িতেই থাকতেন। এখন সেখানে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রতো আছেই গ্রামের বাজারসহ সব কটা বাজারেই আছে ফার্মেসি। রোগাক্রান্ত মানুষ চোখে পড়লো না একটাও। এ গ্রামেরই দুটি মেয়ে ডাক্তার হয়েছে। একজন ছেলে ডাক্তার ফেনীতে সরকারি হাসপাতালে কাজ করে। গ্রামের বাজারে এক গাদা কম্পিউটারের দোকান। আছে মোবাইলের দোকান; বিক্রি আর মেরামত দুটোই হয় এসব দোকানে। প্রতি সপ্তাহে বাজারে মাল আসে কোটি টাকার। বিলাসী তরল পানীয় থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির কোনটাই বাদ যায় না। এমনকি ফার্মের মুরগি, পুুকুরের পাঙ্গাস বা রসায়নে ভরা আমের রমরমা বাজার জমে ওঠে প্রতিদিন। এ গ্রামের মানুষ চৈত্র মাসে কচু ঘেচু খেয়ে বেঁচে থাকতো। এখন কচু-ঘেচুতো দুরের কথা, অভাবের চেহারা দেখে না কেউ। এখন সেই গ্রামে কখনও অভাব আসে না। গ্রামের কামলাদের মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকার কাছাকাছি। বর্ষায় যখন কাজ থাকে না তখন ওরা চলে আসে গ্রামের বাইরে। সেখানেও দিনে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কামাই করা যায়। শুধু ঈদের সময় গ্রামে রেমিট্যান্স আসে কোটি টাকার। শিক্ষার হার পৌঁছেছে হাওর এলাকার সর্বোচ্চ। গ্রামের শতভাগ শিশু স্কুলে যায়। যে গ্রামে হাইস্কুল ছিল না সেই গ্রামে একটি ছেলেদের ও একটি মেয়েদের হাইস্কুলের পাশাপাশি একটি ডিগ্রি মাদ্রাসা ও একটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ রয়েছে। ৩টি কেজি স্কুল এবং ৩টি প্রাইমারি স্কুলতো আছেই। গ্রামের একটি প্রাইমারি স্কুলে পেলাম এক জোড়া ভাইবোনকে। ওদের বাবা দিনমজুর। বোনটা ফাইভে আর ভাইটা ফোরে পড়ে। মেয়েটার ইচ্ছা সে ডাক্তার হবে আর ছেলেটা হবে শিক্ষক। গ্রামের রাস্তায় দুদিন হেঁটে হেঁটে স্কুলের ড্রেস পরা শিশুদের দেখে, কথা বলে জানলাম- অনেকেই কেজি স্কুলে পড়ে। পুরো গ্রামে মানুষ বাস করে হয়তো ৪ হাজার। অথচ সেই গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেখাপড়া করে তার চাইতে বেশি ছেলেমেয়ে। প্রত্যন্ত হাওরের পাড়ে এমনকি মেয়েরা হোস্টেলে থেকে কলেজে লেখপড়া করছে বহু দূর-দূরান্ত থেকে এসে।

সেই গ্রামেরই মেয়ে হাসিনা আক্তার। দেখা হলো গ্রামের হাটে। একটি সবজির দেকানে বসে আল মাপ ছিল। জানতে চাইলাম, কে চালায় দেকানটা? জানালো সে ও তার বাবা। মালপত্র কাত্থেকে আসে এমন প্রশ্নের জবাব েজানালো, ভৈরব থেকে। সহজাত প্রশ্ন করলাম, তুমি কি ভৈরব থেকে মাল কিনে আন?

না, আমি বা বাবা কেউ ভৈরব যাই না। একটা মোবাইল ফোন দেখিয়ে বললো, আমাদের জিনিসপত্র আসে এ মোবাইলের অর্ডারে। আমিই বলে দিই কি কি কতোটা দিতে হবে। টাকা দাও কেমন করে? এ প্রশ্নের জবাবে হাসিনা জানালো, সেটাও মোবাইলে?

হাসিনাকে দেখে আমার বিস্ময়ের সীমা ছিল না। মনে হচ্ছিলো, আমি কৃষ্ণপুরে নয়, কোন এক ভিন্নগ্রহে এসেছি। যে গ্রামে মাত্র ৫০ বছর আগে একজন ছাত্রী পাইনি, সেই গ্রামের সব মেয়ে লেখাপড়া করে আর কিশোরী মেয়ে হাসিনা লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়িতে বসে ডিজিটাল উপায়ে ব্যবসা করে, এমনটি আমার নিজের স্বপ্নেই ছিল না। আমি আমার দাদার কথা ভাবি। একদিন খালি হাতে শুধু একটি মক্তব করার সামর্থ্য নিয়ে যিনি এই গ্রামে এসেছিলেন, তার গ্রামটি তিনি এখন যদি দেখতেন তবে চিনতে পারতেন বলে আমার মনে হয় না।এরপরও কি আমরা বলবো দেশটা বদলায়নি?

ঢাকা। ০৪ আগস্ট, ২০১৪।

[লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, বিজয় কিবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল