haludআমরা রান্নায় যে হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করি তা পেতে প্রথমে হলুদ গাছের শিকড়কে কয়েক ঘণ্টা সিদ্ধ করতে হয়। তারপর সেদ্ধ হলুদ শুকিয়ে শিকড়কে চূর্ণ করে গাঢ় হলুদ বর্ণের গুঁড়া পাওয়া যায়। তবে যুগ যুগ ধরে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে নানা রোগের ঔষধ হিসেবে। চীনারা হলুদকে ভাবে একটা হার্বাল পণ্য হিসেবে।

রূপের যত্নে যে হলুদ অনন্য সে কথা আমরা জানি। কিন্তু হলুদ যে রোগের ঔষধ সেটা কি জানি? হলুদের অসংখ্য স্বাস্থ্য-উপকারী ঔষধী কার্যকারিতা রয়েছে। হলুদ এ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে। জেনে নিন কাঁচা হলুদের পাঁচটি ঔষধি ব্যবহার। এতে ঘরেই নিতে পারেন কিছুটা স্বাস্থ্যসেবা।
১। দাগ দূর করতে:
রোদে পোড়া দাগ, বয়সের বলিরেখা, ত্বকের ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে সামান্য পরিমান শসার রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন পনেরো-বিশ মিনিট। কিছুদিনের মাঝেই দাগ দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
২। ক্ষত সারাতে:
সাধারণ কাটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপটিক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষত দ্রুত সারাতে বাটা হলুদে উষ্ণ পানি মিশিয়ে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিন। দ্রুত সেরে উঠবে।
৩। সর্দি-কাশিতে:
সর্দি-কাশিতে হলুদ খুব উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে বাটা হলুদ, সামান্য মাখন এবং গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন। কাশিতো দূর হবেই, গলা ব্যথা থাকলেও সেরে যাবে।
৪। রক্ত পরিষ্কার করতে:
হলুদ দেহের রক্ত পরিষ্কার করে বিশ্বাস করে আর্য়ুবেদ শাস্ত্র। রক্তের ঘাটতি বা রক্ত শুন্যতা দেখা দিলে হলুদ বাটা খেলে উপকার পাওয়া যাবে। হলুদ রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। সকালে এক চামচ কাঁচা হলুদের রস ও সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেলে রক্তশূন্যতা দূর হবে।
৫। অন্ত্রের রোগ সারাতে:
অন্ত্রের রোগে হলুদ মহৌষধ। অন্ত্রের রোগ থেকে মুক্তি পেতে এক চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদের রস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খান। অন্ত্রের রোগ সেরে যাবে। আবার ডায়রিয়া সারাতেও হলুদ অনন্য।

bd24live.com