শিল্প ও বাণিজ্যঃ শিল্প বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় এক জনপদের নাম কিশোরগঞ্জ। এ জেলার অতীত ইতিহাসও শিল্প বাণিজ্যের সমৃদ্ধির ঐতিহ্য বহন করে আসছে। মোগল আমলে বাংলাদেশের এক সময়কার বিশ্বখ্যত উৎকৃষ্ট মসলিন তৈরীর জন্য জেলার বাজিতপুর উপজেলা ছিল অন্যতম।

কিশোরগঞ্জ জেলায় বৃহৎ শিল্প কারখানা বেশী না থাকলেও মাঝারী ও ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য এ জেলার খ্যাতি রয়েছে। ক্যাটাগরিভিত্তিক কিশোরগঞ্জের শিল্পকারখানাগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

শিল্পের নাম
কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস
ব্যক্তিমালিকানাধীন, যশোদল, কিশোরগঞ্জ
জেমিনি টেক্সটাইল মিলস
ব্যক্তিমালিকানাধীন, গাইটাল, কিশোরগঞ্জ
কুলিয়াররচর কোল্ড স্টোরেজ লিঃ
ব্যক্তিমালিকানাধীন, কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।
কুলিয়ারচর বাদাম মিল
ব্যক্তিমালিকানাধীন, কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।
আফতাব হ্যাচারী লিঃ
ইসলাম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান, ভাগলপুর, বাজিতপুর।
আফতাব পোল্ট্রি ফিড মিল
ইসলাম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান, ভাগলপুর, বাজিতপুর।
আফতাব পোল্ট্রি ড্রেসিং প্লান্ট
আফতাব গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান, ভাগলপুর, বাজিতপুর।
পচাঁ ফিড মিল
বেতিয়াকান্দি, আলমগ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান
কুলিয়ারচর ডেইরী কমপেস্নক্স (কিষান চিজ মিল)
পূর্ব গাইলকাটা, কুলিয়ারচর/ বোমেব সুইটস এন্ড কোম্পানীর একটি প্রতিষ্ঠান।

 

এছাড়াও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া নামক স্থানে বিসিক শিল্প নগরীতে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করেছে। স্থানীয় প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত ধান মাড়াই কলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে। জর্দা ফ্যাক্টরী, ব্যাটারী ফ্যাক্টরী, বেকারী, চানাচুর কারখানা, আগরবাতি, মোমবাতি কারখানা, বিড়ি ফ্যাক্টরী, সরিষার তেল কারখানা, আটা-ময়দা ফ্যাক্টরী এ অঞ্চলের শিল্প সম্ভারকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। ভৈরব নদীবন্দর, চামটা নদীবন্দরও এ অঞ্চলের নদী বিধৌত হাওড় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ঝিনুকের খোল দিয়ে মেশিনের সাহায্যে হাঁস-মুরগীর খাবার তৈরী করার পাশাপাশি নানাধরনের বাণিজ্য গড়ে উঠেছে ।