২১ দিনের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হলেও অফিসিয়ালি এখন ৪৫ দিনের আগে এ প্রযুক্তির পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না , আমাদের জাতীয় পাসপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের [এমআরপি] জন্য আবেদন ফরম জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রচলিত পাসপোর্টের মতোই দেখতে নতুন এমআরপি। তবে একটি বিশেষ পৃষ্ঠায় থাকবে প্রযুক্তির কারিগরি। ফলে পাসপোর্টের সব তথ্য পড়তে পারবে যন্ত্রটি।
ইন্টারনেটে ডিজিটাল পাসপোর্ট পেতে নতুর ধরনের এ পাসপোর্ট প্রদানের প্রক্রিয়া শুরুর পর এ পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াটিকেও প্রযুক্তিনির্ভর করা হয়েছে।
নতুন ধরনের এ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ডিআইপি ডট গভ ডট বিডি [dip.gov.bd] সাইটের পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ফরম ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন ফরম এমআরপি লেখা বাটনে ক্লিক করে ফরমটি ডাউনলোড করতে হবে।
এ ফরমের মতো করে কম্পিউটারে আলাদা করে টাইপ করে লিখলে হবে না। মূল আবেদনপত্রটিই প্রিন্ট করে তথ্যাবলি পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদনকারীর একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি ফরমের নির্ধারিত স্থানে আঠা দিয়ে লাগানোর পর তা সত্যায়িত করতে হবে। আবেদন ফরমের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধনপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। এমআরপির জন্য ব্যাংকে তিন হাজার টাকা [সাধারণ] জমা দিতে হবে। আর ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য জমা দিতে হবে ছয় হাজার টাকা।
আবেদনকারীকেই পাসপোর্ট অধিদফতরের অফিসে আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীর চারটি আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে, তোলা হবে মুখের ছবি এবং নেওয়া হবে ডিজিটাল স্বাক্ষর।
তবুও জটিলতা কাটেনি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেওয়ার প্রক্রিয়াটি অনলাইননির্ভর করা হলেও এ থেকে তেমন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ইন্টারনেটের জন্য ডাউনলোডেবল যে ফরম দেওয়া রয়েছে তাতে ২১ দিনের মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হলেও অফিসিয়ালি এখন ৪৫ দিনের আগে এ প্রযুক্তির পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন বহির্গমন এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের কর্মকর্তারা। আর ডাউনলোডেবল পাসপোর্টে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তাদের আবেদনপত্রের জন্য কোনো ভেরিফিকেশন লাগবে না এমন তথ্য থাকলেও সব আবেদনকারীর জন্য ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জানা গেছে, অফিস থেকে সরাসরি বর্তমানে যে আবেদনপত্র প্রদান করা হচ্ছে তাতে অনলাইন আবেদনপত্রের চেয়ে বেশকিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে অনলাইনে আপডেট হওয়া আবেদন ফরমটি ডাউনলোডের জন্য রাখা হয়নি। আর এ কারণেই যারা ওয়েবসাইট থেকে ফরম ডাউনলোড এবং পূরণ করে ফরমটি জমা দিতে যাচ্ছেন তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বেশ ভাল এবং উপকারী পোষ্ট