মো. নিয়াজ উদ্দীন, কিশোর গঞ্জের ইটনা উপজেলার হাওর বেষ্টিত লাইম পাশা গ্রামে এক কৃষক পরিবারে পহেলা বৈশাখ জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর নামের সাথে তাঁর প্রিয় গ্রাম- লাইম পাশা’র ”পাশা’ সংযোজিত হয়ে তিনি নিয়াজ পাশা হিসাবে সমধিক পরিচিতি লাভ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাইম পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং তাঁর মামার বাড়ি- হবিগঞ্জের বানিয়াচুং উপজেলার দেীলতপুর হাই স্কুলে ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণী অধ্যয়ন করেন। ১৯৭৮ সালে সদ্য প্রতিষ্ঠিত লাইম পাশা জুনিয়র হাই স্কুলে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়ন কালে ইটনা মহেষ চন্দ্র মডেল শিক্ষানিকেতনের নামে ৮ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় বৃহত্তর ময়মনসিংহে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম হয়ে বৃত্তি লাভ করেন। তারপর ৯ম শেণীতে তুমূল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভর্তি হন কিশোর গঞ্জ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে। ১৯৮১ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাশের পর ভর্তি হন তৎকালিন অভিজাত ও ব্যয়বহুল কলেজ কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়েল মডেল স্কুলে (বর্তমান কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ)। ১৯৮৫ সালে নিয়াজ পাশা ভর্তি হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকেীশল ও কারিগরি অনুষদে।
স্কুল জীবনেই তাঁর মধ্যে লেখালেখি ও নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ড. নিয়াজ পাশা সাংবাদিকতা ও ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন। বাকৃবি’র ফজলুল হক হলে বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘ চার বছরেরও বেশী সময় ব্যাপী দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৮-৮৯ সালে সরাসরি ভোটে হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি একজন প্রতিস্রুতিবান কৃষি সাংবাদিক হিসাবেও পরিচিতি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি বিভিন্ন সামাজিক. সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত হন, যা ছাত্র সংসদের বিকল্প হিসাবে কাজ করতো। ড. পাশা ঐ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ছাত্র, শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সংগঠন বিনোদন সংঘ, সাহিত্য সমিতিতে কাজ করেছেন। ড. পাশা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সাংবাদিক সমিতি ও ইউনিভার্সিটিজ ইয়্যুথ’র সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত । তিনি বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক, সহ-সভাপতি, সভাপতি ছিলেন ও আজীবন সদস্য। কৃষি সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাকৃবি সাংবাদিক সমিতি তাঁকে সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করেন। কৃষি সম্প্রসারণে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ কর্তুক ’বঙ্গবন্ধু বিজয় পদক’ লাভ করেন। ধান চাষের মাধ্যমে উত্তর বঙ্গ হতে মঙ্গা দূরীকরণে সম্প্রসারণ ও উদ্বুদ্বকরণ কার্যক্রমের একজন সৌভাগ্যবান সক্রিয় কর্মী হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতায় নিজেকে গেীরবান্বিতবোধ করেন। ড. নিয়াজ পাশা বাংলাদেশ বেতারের একজন নিয়মিত কথক ; টিভি সহ বিভিন্ন আলোচনা অনূূষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন । তিনি কিশোর গঞ্জ প্রেস ক্লাবের সম্মানিত আজীবন সদস্য। তিন দশকের বেশী সময়ব্যাপী বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লেখালেখি করছেন। পত্রিকাকে তাঁর দ্ধিতীয় সংসার বা বউ এর সতীন হিসাবে আখ্যায়িত করে থাকেন।
হাওরের কাদা জলে বেড়ে উঠা মানুষ হিসাবে এ অঞ্চলের প্রতি তাঁর রয়েছে দায়বদ্ধতা। হাওরের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে রয়েছে ড. নিয়াজ পাশার অসংখ্য প্রকাশনা। চোখ ব›দ্ধ করলে এখনো তিনি সোদা মাটির গন্ধ পান। গত ৩০ বছর যাবৎ তিনি নিরলসভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে ও ফোরামে হাওর, কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিদদের কথা বলে চলেছেন। সময় ও সুযোগ পেলেই তিনি হাওরের অফুরন্ত সম্ভাবনার বিষয়টি উপস্থাপন করে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্ঠা করেন। হাওর উন্ন্য়ন বোর্ড গঠন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃসংস্কার, পরিবহন, যোগাাযাগ-ডুবা সড়ক, বিদ্যুৎ, পানির মধ্যে বৃক্ষ রোপন, পর্যটন, ঐতিহ্য, কালচার, কর্মসংস্থান, পরিবেশ-প্রতিবেশ, মৎস্য চাষ, জলজ কৃষি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে রয়েছে ড, নিয়াজ পাশার অসংখ্য প্রতিবেদন। ’ হাওর উন্নয়ন বোর্ড’ প্রতিষ্ঠায়ও তিনি সোচ্চার ছিলেন; প্রতিষ্ঠার ঘোষণায় আনন্দে কেঁদেছেন। তিনি অর্থ মন্ত্রী ড. মোহিত ও কম্পিউপার বিজ্ঞানী মোস্তফা জব্বারের নেতৃত্বধীন ’ হাওর ঘোষণা বাস্তবায়ন কমিটি’র এবং জাতীয় হাওর পরিষদের সদস্য।
এ প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবীর প্রেক্ষিতেই সরকার প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ২০ বছর মেয়াদী ’হাওর মহা পরিকল্পণা” প্রণয়ন করেছেন। বাকৃবিতে ’হাওর কৃষি গবষণা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউট” প্রতিষ্ঠায় সম্প্রতি করা তাঁর আবেদনে মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এডভোকেট আব্দুল হামিদ সম্মতি প্রদাণ করে বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছেন। যা এখন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে। কিশোরগঞ্জে ’হাওর মাৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বারি’র (ইঅজও) আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শাখা স্থাপনে সচেষ্ট রয়েছেন। হাওর নিয়ে ব্যাপক লেখা লেখি ও চিন্তা ভাবনার জন্য অনেকেই তাঁকে ”হাওরী নিয়াজ পাশা” বা হাওর ভূমিপুত্র হিসাবেও অভিহিত করে থাকেন। জন্মভূমি প্রিয় গ্রাম বা হাওরকে ভালবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এখন ড. নিয়াজ পাশা অন্য হাওরবাসির কাছে প্রেরণাদায়ক ও অনুুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। হাওরের আলো বাতাসে বেড়ে উঠা মানুষ হিসাবে পরিচয় দিতে তিনি গর্ববোধ করেন। হাওরের প্রতি গভীর অকৃত্রিম ভালবাসা, মমত্ববোধ এবং আর্থ-সামাজিক –সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য গত ২২.৫.১৪ তারেিখ তার জন্মভূমি ইটনা উপজেলাবাসি ড. নিয়াজ পাশাকে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদাণ করেন। কিশোরগন্জ প্রেসক্লাবের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিখি ছিলেন ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিটামন উপজেলার সাংসদ এবং ইটনা উপজেলা চেয়ারম্যান সহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিল।
১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা), ময়মনসিংহে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পান। ১৯৯৭-৯৮ সনে নিয়াজ পাশা আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থার অর্থায়নে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে ছয় মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কর্ম ক্ষেত্রও তিনি সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অনেকগুলো জাতীয় ইস্যুভিত্তিক সেমিনারে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেছেন। তাছাড়াও তিনি দেশে বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানের অয়োজক ও অংশ গ্রহণ করেছেন। ড. নিয়াজ পাশা হাওরের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ভিত্তিক সংগঠন ’ হাজি তারা পাশা ফাউন্ডেশন” প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি লাইম পাশা হাই স্কুলে একটি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা, গরীব শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আর একটি কৃষি পাঠাগার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। অসুস্থতার জন্য হাওরকে নিয়ে তাঁর অনেক পরিকল্পনা বাস্থবায়ন করতে পারছেন না। তিনি আল¬াহর কাছে তাঁর মনোবাসনা পূরণে শক্তি, সাহস, সামর্থ, পরিবেশ ও মন-মানসিকতা কামনা করছেন।
ড. নিয়াজ পাশা আনেকগুলো পেশাজীবী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ফেলো-কাউন্সিলর ছিলেন কয়েকবার। তিনি পরমাণু বিজ্ঞৃনী ড. ওয়াজেদ মিয়া ও টএঈ ‘ র চেয়ারম্যান ড. এ.কে. আজাদ চেীধুরীর নেতৃত্বৃাধীন দেশের সর্ববৃহৎ ও মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী বিজ্ঞানীদের সংগঠন ‘‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি’র (ইঅঅঝ)‘‘ দু‘বার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন স¤পাদক, প্রগ্রেসিভ এগ্রিকালচারের কার্যকরী কমিটিতে ছিলেন কয়েকবার। তিনি বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, বাংলাদেশ কৃষি প্রকৌশলী সোসাইটির সক্রিয় সদস্য।
নিয়াজ পাশা ২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া (ইউ.পি.এম.) হতে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল ফার্টিগেশন, সয়েল ওয়াটার মোভমেন্ট, ওয়াটার রিকয়ারম্যান্ট ফর ক্রপস ইত্যাদি। ড. নিয়াজ পাশা হচ্ছেন স্বাধীনতাত্তোর ইটনা উপজেলার প্রথম পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনকারি ব্যক্তিত্ব। বাকৃবি ও মালয়েশিয়ার সুধী মহলে ড. নিয়াজ পাশা সদালাপী, বন্ধু বাৎসল্য ব্যক্তিত্ব হিসাবে অত্যন্ত সুপরিচিত । মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে তিনি বাংলাদেশী শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অসংখ্য রিপোর্ট করেছেন, যা সমস্যা লাঘবে সহায়ক হয়েছে। ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট ফোরামেও ছিলেন তিনি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ডঃ নিয়াজ পাশা’র ১৫ টির অধিক বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত ও বিএজিএগ এর পাঠ্যভূক্ত ‘‘খামার যšত্রপাতি‘‘ বই এর অন্যতম লেখক। তাছাড়াও তিনি অনেক বুকলেট, ফোল্ডার ও লিফলেট এর প্রণেতা এবং অনেকগুলো জার্নাল প্রকাশনার সাথে জড়িত ছিলেন।
প্রগতিশীল চিন্তাধারা, আন্দোলন-সংগ্রাম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও কৃষি সাংবাদিকতায় গত ৩০ বছর যাবৎ তিনি ওৎপ্রাতভাবে জড়িত। বর্তমানে তিনি ডায়াবেটিক জনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভোগছেন একং দেশে ও বিদেশে অনেকগুলো জটিল ও ব্যয় বহুল অপারেশন করতে হয়েছে। সে সময়ে তারঁ অসুস্থতার সংবাদে তারঁ বন্ধু ও পরিচিত মহল বিচিলিত ও দুঃশচিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরেন। তাঁরা দেশে ও পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশে মসজিদে মসজিদে ড. পাশার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া এবং তাঁকে বাচাঁতে সক্রিয তৎপরতা চালান। আশা জাগানিয়া ভালবাসায় তিনি সিক্ত হন। চরম অসুস্থতা অবস্থায় তিনি তাঁর স্ত্রীকে বার বার তাঁর জন্ম ভিটায় নিয়ে যেতে আকুতি-মিনতি করেন। তিনি বলেন, ”হাওরের পানিতে আমার গা’ ধুইয়ে দাও, আমি সুস্থ্য হয়ে উঠবো…”। তিনি এখনো মনে করেন ’গঙ্গা জল’র মতো হাওরের সোনার রেনুসম পবিত্র কাদা জল গায়ে মেখে দিলেই তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন ।
ড. নিয়াজ পাশা মধ্য এপ্রিল ২০০৯ এ সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার, ফার্ম গেট, ঢাকা তে সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে আন্তজার্তিক কর্মক্ষেত্রে পদযাত্রা শুরু করেছেন। ড. নিয়াজ পাশা তাঁদের একই গ্রামের মেয়ে আশা’র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাঁরা এক ছেলে- ফাহিম ও এক মেয়ে মিহি’র গর্বিত পিতা মাতা। ‘হাওরভূমি পুত্র’ খ্যাত ড. নিয়াজউদ্দিন পাশা সোমবার ৯ জানুয়ারী ২০১৭ দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’তে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফোন : ০১৭২৭ ০৭৪ ৫৮৪