ফলখেকো সুন্দর এই পাখিটি সব জায়গায়ই কম-বেশি দেখা যায়। একটু অভিজ্ঞ যারা, তারা না দেখেও ডাক শুনে চিনে ফেলতে পারে এদের। বাসা বাঁধার মৌসুমে গাছের ডালে এক জায়গায় বসে তালে তালে ডাকে। কণ্ঠস্বর বেশ জোরাল। ডাকটা ‘কোটর টো কোটরো’ ধরনের। গলায় আশ্চর্য কারুকাজ খেলে। বেশি ডাকে বাসা-ডিম হওয়ার মৌসুমে। এদের মাথা নীল আর সারা দেহ সবুজ। বসন্তকালে এই ণীলকন্ঠিদের বেশী দেখা যায় তাই এদের নাম নীলকণ্ঠ বসন্ত বৈরী।
মেয়ে ও পুরুষ পাখি মিলে গাছের মরা ডাল বা যুৎসই ডালে মাপমতো গর্ত খুঁড়ে বাসা করে। ডিম পাড়ে। ছানা ফোটায়। মূল খাদ্য এদের বিভিন্ন রকম ফল। খায় হা-ভাতের (নাকি হা-ফল?) মতো। বট-অশ্বত্থ-পাকুড়-বলা ফলই বেশি প্রিয়। তাল-খেজুরের রস পান করে। প্রয়োজনে পোকা-মাকড়ও খায়। চিবুক-গলা ও বুকের উপরিভাগ নীল। গলার দু’পাশে নীলের পাশে লাল ছোপ আছে। বুক-পেট ও লেজের নিচটা সবুজ। চোখ কালো, বৃত্ত কমলা। ডানা, পিঠ ও লেজের উপরিভাগ গাঢ় সবুজ। মাথা লাল, তার ওপরে কালচে রঙের একটি ব্যান্ড। কপাল ও মাথার পেছন দিকটাও লাল।