আমার নাম হল বাসক। প্রাচীনকাল থেকেই আমি ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে তোমাদের কাছে সুপরিচিত।আমার বৈজ্ঞানিক নাম-Adhatoda  zeylanica (ACANTHACEAE) Malabar nut রাজনিঘন্টুকাররা আমাকে বহু নামে বিভূষিত করেছেন।

যেমন-  সিংহমুখী, ভিষঙ্মতা, বসাদনী, কন্ঠীরবী, বৃষ, শিতপর্ণী, বাজিদন্তা, পঞ্চমূখী, মৃগেন্দ্রানী। প্রাচ্য ও প্রাতীচ্য উভয় মহাদেশেই আমার বেশ নাম ডাক আছে। কবিরাজের নথিপত্রে আমি কটুতিক্তরস, শীতবীর্য, কামনানাশক এবং রক্তপিত্তনাশক জ্বর, শ্বাস ও ক্ষয়কাসনাশক। নব্যের সমীক্ষায় দেখা যায়, আমার পাতায় আছে কুইনাজোলিম অ্যালকালয়েড্‌স, ভ্যাসিকোলিন, এসোটডিন, ভিটামিন সি। এইসব রাসায়নিক পদার্থের জন্য শ্বাসনালি সংক্রান্ত রোগে আমার পাতার রস বিশেষ উপকারী।

আমি গুল্মজাতিয় উদ্ভিদ। চার থেকে আট ফুট উঁচু হতে পারি। আমার পরিবারের অন্যদের মতো আমার ফুলও ফোটে থাকে থরে থরে পুষ্প-স্তবকের মধ্যে। ফুলের রঙ সাদা হলেও গোলাপি শিরার ছাপ আছে। ভারত-বাংলা উপমহাদেশের প্রায় সর্বত্রই আমাকে দেখা যায়। তবে বাংলাদেশের বাড়ির ভিটায়, ছায়াছন্ন জায়গাতেই আমার ঘনত্ব অনেক বেশি। অনেক সময় আমার গাছের সারি দিয়ে বাড়ির বেড়া দিয়ে থাকে।

তথ্যঃ নওয়াজেশ আহমেদ