মি. সাকসি। ইংরেজ আমলে যে ক’জন ইংরেজ রাজ কর্মচারী জেলা ময়মনসিংহের কালেক্টরে চাকরী করেছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে মি. সাকসির লেখা ডিস্ট্রিক গেজেটিয়ারে কিশোরগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জনপদ জনসংখ্যা ছাড়াও এ অঞ্চলের বিভিন্ন খাদ্য, পশু, পাখি, গাছ, মাছ, ইত্যাদির তালিকা ও বিবরণ রয়েছে । বিশেষ করে ঐ গ্রন্থে কিশোরগঞ্জের ইংরেজী বানান তিনি ঊল্লেখ করেছেন এমনি ভাবে KISHORGONJ তার পূর্বে ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ইংরেজ রাজকর্মচারী মি.আর্থার ক্লে’র ‘PRICIPAL HEADS HISTORY AND STATISTICS OF THE DACCA DIVISION’ নামক বইয়ে কিশোরগঞ্জের ইংরেজী বানান রয়েছে এমনি ভাবে – ( KISHOREGUNJ ) তার ও পূর্বে ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ডব্লিঊ ডব্লিঊ হান্টারের বইয়ে সর্বপ্রথম লেখা কিশোরগঞ্জের ইংরেজী বানান রয়েছে এমনি ভাবে – (KISHORIGONJ)। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনে ও জেলা পাব্লিক লাইব্রেরিতে এখনো মি. সাকসি’র গেজেটিয়ার বইটি সংরক্ষিত আছে । তথ্যঃ প্রিন্স রফিক খান – গ্রন্থঃ কিশোরগঞ্জের লেখক জীবনী (পৃষ্ঠা -৬৪৫) ( প্রকাশকালঃ ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ খ্রীষ্টাব্দ )
বর্তমানে প্রচলিত কিশোরগঞ্জের ইংরেজী বানান গুলোর মধ্যে ( KISHOREGONJ এবং KISHOREGANJ ) সর্বপ্রথম কিংবা কোন সাল থেকে এভাবে লিখা হচ্ছে তার সঠিক কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি ।