কিশোরগঞ্জ জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জাল নোটের সরবরাহ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, ৫০০ টাকার জাল নোট ছড়িয়ে পড়ায় এ জেলার সাধারণ মানুষ আতঙ্কে আছে। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখায় মো. মাহমুদুল হাসান আয়কর জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে পে-অর্ডার করতে যান। তিনি ওই শাখার ক্যাশে টাকা জমা দেওয়ার সময় একটি ৫০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়ে। পরে তিনি ওই শাখার একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়ে পে-অর্ডার করেন। বুধবার কিশোরগঞ্জ শহরের হয়বতনগর এলাকার হাফিজ উদ্দিন কৃষি ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় ডিপিএসের টাকা জমা দিতে যান। তিনি ক্যাশে টাকা জমা দিলে একটি ৫০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়ে। নোটটি লাল কালি দিয়ে কেটে দেন ব্যাংক কর্মকর্তা।

সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মো. নূরুল হুদা জানান, প্রায় দিনই লোকজনের কাছ থেকে ক্যাশ কাউন্টারে টাকা জমার সময় এক-দুটি ৫০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়ে। অনেক নোটের মধ্যে জাল নোট ধরা সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।

কৃষি ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা দেবরাজ রায় বলেন, ‘প্রায় সময়ই ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা লোকজনের টাকার মধ্যে জাল নোট থাকে। এরা সাধারণ মানুষ। কোনো কিছু ক্রয়-বিক্রয় করার পর টাকা লেনদেনের সময় না চেনার কারণে জাল নোট তাঁদের কাছে এসে যায়। কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা এ কাজে জড়িত বলে মনে হয়।’

– প্রথম আলো