বউকথাকও মাঝারি আকারের কোকিলজাতীয় পাখি। এ পাখিটি আবার ভারতীয় কোকিল নামেও পরিচিত।
ইংরেজি নাম– Indian Cuckoo, বৈজ্ঞানিক নাম– Cuculus micropterus । কোকিল পরিবারের সদস্য। বউকথাকও পাখিটি এশিয়া মহাদেশের বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চল থেকে ইন্দোনেশিয়া, চীনের উত্তরাঞ্চল, রাশিয়া প্রভৃতি দেশে দেখা যায়। একাকী, নিভৃতচারী ও লাজুক পাখি হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে। বনাঞ্চলসহ উন্মুক্ত গাছগাছালিপূর্ণ এলাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে এরা বাস করে। বউকথাকও পাখির স্ত্রী-পুরুষ দেখতে প্রায় একই রকম। উর্ধ্বাংশে ধূসর এবং পিছনের অংশে কালো পালক রয়েছে। লেজটি বিস্তৃত থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির বাদামি এবং সাদা বর্ণের সংমিশ্রণে মাথা ও পাখায় পালকের রং রয়েছে। অক্ষিগোলক ধূসর থেকে হলুদ রংয়ের হয়ে থাকে। চোখের মণি হালকা বাদামি থেকে লোহিত আকারের। স্ত্রীজাতীয় বউকথাকও পাখি সনাক্তকরণের লক্ষ্যে পুরুষের তুলনায় গলা, বুক ও লেজের দিকে হালকা ধূসর রংয়ের হয়। পেটের অংশটুকু সরু হয়ে থাকে। পাখিটি অতি উচ্চস্বরে ডাকে।
বউকথাকও পরজীবী পাখি হিসেবে পরিচিত এবং স্ত্রী পাখিটি একটি মাত্র ডিম পাড়ে। ফিঙে আর কাকের মতো কালো পাখির বাসায় ডিম পেড়ে উধাও হয়ে যায়। কোকিলের ন্যায় এরা ডিম পাড়ার আগে ফিঙে অথবা কাকের একটি ডিম খেয়ে ফেলে অথবা নিচে ফেলে দেয়।
চীনের উত্তরাংশে পাখিটির ডিম পাড়ার মৌসুম হচ্ছে মে থেকে জুলাই। ভারতীয় উপমহাদেশে মার্চ থেকে আগস্ট। বার্মায় জানুয়ারি থেকে জুন এবং মালয় উপত্যকায় জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রজনন সময়কাল। ১২ দিন অতিবাহিত হলেই ডিম ফুটে বাদামি রংয়ের বাচ্চা জন্মে। এলাকা ভেদে ১৪ দিন সময় লাগে।
লিখেছেনঃ শহীদুল ওয়াহাব # বিডি নিউজ ২৪ ডট কম