গুগলের স্মার্টফোনের বাজারে পাল্লা দিতেই অ্যাপলের আইফোনে সংযোজন করা হলো আরো বিশেষ সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্য৷ নতুন এই প্রজন্মকে ডাকা হচ্ছে ‘আইফোন ফোর’ নামে৷
আইফোনের এই আধুনিকতম সংস্করণটি সোমবার উন্মুক্ত করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ জবস৷ ১৬ গিগাবাইট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ফোনসেটের দাম রাখা হয়েছে ১৯৯ ডলার৷ আর ৩২ গিগাবাইটের সেটের দাম পড়বে ২৯৯ ডলার৷ সাদা এবং কালো এই দু’টি বর্ণেই বাজারে আসছে প্রযুক্তির এই নতুন প্রজন্ম৷ বাজারে থাকা তৃতীয় প্রজন্মের আইফোনের চারভাগের এক ভাগ সরু করে ফেলা হয়েছে এই নতুন সেটটিকে৷ ফলে সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও ব্যবহারকারীর জন্য এটি হয়ে উঠেছে আরো আরামদায়ক এবং বহনযোগ্য৷ এই সেটে রয়েছে আরো উন্নতমানের স্ক্রিন৷ আগের সেটের মতোই সাড়ে তিন ইঞ্চ স্ক্রিন হলেও এর বর্তমান ফিচার প্রতি বর্গইঞ্চে ৩২৬ পিক্সেলস৷ পিক্সেলসের মাত্রা বেড়েছে আগের সেটের চেয়ে চারগুণ৷
জবসের দাবি, এতটা পরিচ্ছন্ন এবং চমৎকার ডিসপ্লে এর আগে কোন ফোন সেটে সংযোজন করা হয়নি৷ নতুন এই সেটে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা ৪০ শতাংশ বেড়েছে৷ থাকছে ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে ভিডিও চ্যাট, হাই ডেফিনেশন ভিডিও ধারণ এবং এডিটিং-এর সুবিধা৷ সেটের সামনের দিকেই ভিডিও ক্যাম৷ আর জাইরোস্কোপ সেন্সর যোগ করে গেমস’কে করা হয়েছে আরো গতিময়৷ নতুন এই সেটের সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল এবং ইয়াহুর পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারবেন মাইক্রোসফটের ‘বিং’-ও৷ শুধু তাই নয় এই ধরণের প্রায় ১০০ টি নতুন সুবিধা যোগ করা হয়েছে আইফোন ফোর’এ৷
সান ফ্রান্সিস্কোতে অ্যাপলের বার্ষিক সমাবেশে জবস ঘোষণা দেন যে, বিশ্বের পাঁচটি দেশে ২৪ জুন থেকে পাওয়া যাবে এই আধুনিকতম সংস্করণের মোবাইল ফোনসেট৷ প্রথমত আমেরিকা, জার্মানি, জাপান, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের ভোক্তারা হাতে পাচ্ছেন আইফোন ফোর৷ জুলাই থেকে ১৮টি দেশে এবং সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পৌঁছে যাবে ৮৮টি দেশে৷ আন্তর্জাতিক বাজারে আইফোন সরবরাহের ইতিহাসে এটিই পৌঁছতে যাচ্ছে দ্রুততম সময়ে৷
যদিও বাজারে আইপ্যাডের মতো ততোটা সফল নয় আইফোন, তবুও আন্তর্জাতিক বাজারই এটির মূল লক্ষ্য৷ মাত্র দুই মাসেই আইপ্যাড বিক্রি হয়েছিল ২০ লাখ৷ অনেক বিশ্লেষকের মতে, তিনভাগের দুই ভাগ আইফোনই বিক্রি হচ্ছে বিদেশের বাজারে৷ জবস জানান, চতুর্থ প্রজন্মের এই নতুন সেটে ব্যবহার করা হয়েছে এ-ফোর প্রসেসর৷ তাঁর দাবি, ‘‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সবচেয়ে সূক্ষ্ম এবং সুন্দর জিনিসটি আমরা তৈরি করেছি৷”