এই খেলাতে বিশটি কাঠি ব্যবহার হয় বলে একে ‘বিশ কাঠি’ খেলা বলে। ৭-১০ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের খেলা এটি। গ্রামাঞ্চলে একসময় এই খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। একটু সময় পেলেই শিশু-কিশোররা এ খেলায় মেতে উঠত। এখন অবশ্য এ খেলার চল অনেকটা উঠে গেছে।
বিশ কাঠি খেলা খুবই সহজ। ছোট ছোট বিশটি যে কোন কাঠির টুকরো সংগ্রহ করতে হয় প্রথমে। ম্যাচের কাঠি বা ঝাঁটার শলা দিয়েও বিশ কাঠি করা যায়। একাধিক খেলোয়াড় এতে অংশ নিতে পারে। একেকজন করে খেলোয়াড় হাতে বিশটি কাঠি নিয়ে তা মাটিতে ছুড়ে দেয়। এরপর একে একে টুকরোগুলো হাতে তুলতে হবে। তবে খুব সাবধানে। কারণ কাঠিগুলো তোলার সময় অন্য যে কোন একটি কাঠি একটু নড়লেই খেলোয়াড় আউট। দান চলে যাবে অন্য খেলোয়াড়ের হাতে। তাই খুব সাবধানে প্রতিটি কাঠি তোলার চেষ্টা চলে। এতটুকু নড়া যাতে না লাগে সেজন্য শিশু-কিশোরদের অঙ্গভঙ্গি দেখে বড়রা মুখটিপে হাসে।
তবু কোন কোন কাঠি তোলার সময় আরেকটি কাঠি নড়ে যায়। খেলোয়াড়দের তখন আফসোসের সীমা থাকে না। তবে যে খেলোয়াড় সবগুলো কাঠি সাবধানের সঙ্গে অন্য কোন কাঠি না নাড়িয়ে তুলতে পারে সে বিজয়ী হয়। খেলা চলাকালে ছেলেমেয়েরা দুষ্টুমিতে মেতে ওঠে।
খেলোয়াড় যখন ধীরেসুস্থে একমনে কাঠি তোলার চেষ্টা করে তখন প্রতিপক্ষ চেষ্টা করে তার ব্যাঘাত ঘটাতে। এজন্য মুখে হাই, হুই উচ্চারণ বা শিষ বাজানো হয়।
কাতুকুতু বা সুড়সুড়ি দেয়ার জন্য হাত না ছোঁয়ালেও হাত এগিয়ে নেয়া হয় শরীরের কাছে। এভাবে আনন্দের সঙ্গে শেষ হয় বিশ কাঠি খেলা।
লিখেছেনঃ সাবিকুন্নাহার রীতা