দাবা খেলার গ্রাম্য সংস্করণ ষোল গুটি খেলা। অলস দুপুরে সময় কাটানোর একটি মজার খেলা হচ্ছে ষোল গুটি খেলা। বুদ্ধি, ধৈর্য, কৌশল ও সতর্কতার সাথে খেলাটি খেলতে হয় বলে বয়স্ক লোকসহ সব বয়েসের লোকেরা এই খেলা খেলে থাকে। এই খেলার উপকরণ একদম সহজলভ্য।
দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এই খেলা হয়ে থাকে। উভয় খেলোয়াড় ১৬ টি করে মোট ৩২ টি গুটি দিয়ে এই খেলা খেলে থাকে। খেলার সুবিধার্থে উভয়পক্ষের গুটির বর্ণ আলাদা হয়। সাধারণত মাটিতে দাগ কেটে ষোল গুটির ঘর বানানো হয়। শুধু ঘরের মাঝখানের দাগটি দান চালার জন্য খালি থাকে। কোনাকুনি দাগের গুটিগুলো সারা ঘর জুড়ে এক ঘর করে কোনাকুনি খেতে পারে। উলম্ব দাগ কাটা ঘরের গুটিগুলো লম্বভাবে এক ঘর করে খেতে পারে। অপর পক্ষের গুটিকে ডিঙ্গাতে পারলেই সে গুটি কাটা পড়ে। এই ভাবে প্রতিপক্ষের গুটির সংখ্যা কমিয়ে শূন্য করে ফেলতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়।
ষোল গুটি বুদ্ধির খেলা। খেলার পদ্ধতি ছকে যুদ্ধের কৌশল প্রচ্ছন্ন রয়েছে। এদিক থেকে খেলাটি দাবার সমধর্মী বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে এই খেলার প্রচলন আছে। চট্টগ্রামে এই খেলাটি ‘মোঘল- পাঠান খেলা’ নামে পরিচিত। যুদ্ধ বিদ্যার ছায়াতেই উক্ত খেলাটি উদ্ভাসিত হয়েছে তা তার নাম দেখে বোঝা যায়। এ দেশে মোঘল পাঠান যুদ্ধ ঐতিহাসিক ব্যপার। ষোড়শ শতক এই যুদ্ধের কাল। অনুমান করা হয় যুদ্ধের স্মৃতি আশ্রিত খেলাটি ঐ সময়ের পর এদেশে চালু হতে পারে।
এখন হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর যুগ। বর্তমানে কম্পিউটারে এই খেলাটি খেলা যায়।আমাদের ফেইসবুক পেইজে গিয়েও বাংলাদেশের খেলাধূলা সম্পর্কে জানতে পারেন-
লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি