সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী গত সোমবার ‘সংবিধান সংশোধনের দায় প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে’ এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হুমকি দিয়ে যেসব বক্তব্য রেখেছেন তা অনভিপ্রেত, বিদ্বেষমূলক, কুরুচিপূর্ণ, অশিষ্ট ও ধৃষ্টতাপূর্ণ।
সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান সংশোধনে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, “সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে সালাউদ্দিন কাদের সোমবার তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আইন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা যায় না। চোর যখন চুরি করতে আসে, তখন বাড়ির কলিং বেল টিপে আসে না।”
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সঠিক পথে অগ্রসর হবেন- এ বিশ্বাস তার ওপর আমার আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তারা (আওয়ামী লীগ) সংবিধান সংশোধন করতে পারে। কিন্ত এরকম সংশোধনীর দায়ভার বিএনপি নেবে না।”
বিবৃবিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা গভীর ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি, রাজনীতিতে কুকুরের লেজতত্ত্বের আবিষ্কারক পাকিদের দোসর এই ব্যক্তিটি দীর্ঘদিন যাবত আবহমান বাঙালির কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, চেতনা, মূল্যবোধ, জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মনীষা, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও ব্যক্তিদের অবমাননা, দেশ ও জাতিদ্রোহী উক্তিসহ রক্তমূল্যে অর্জিত বিষয়াবলী নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কায়দায় কুরুচি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করা নিত্যনৈমিত্যিক অভ্যাসে পরিণত করেছে।”
মাঝে মাঝে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানও এই সুবিধাবাদী পাকপ্রেমিকের আক্রমণের শিকার হন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সালাউদ্দিন কাদেরসহ বিএনপির এক শ্রেণীর নেতাদের হৃদকম্পনহেতু অসংলগ্ন কথাবার্তার মাত্রা অতি স�প্রতিকালে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সালাউদ্দিন কাদের মিথ্যাচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তাদের অন্ধকার যুগে ফিরে পেতে চায় বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে।