আমার পুষ্পদণ্ড হাতির শুঁড়ের মত দেখতে বলে আমার নাম হাতিশুঁড়। এই রকম আরো কটি নাম আছে। যেমন- হস্তীশুণ্ডী, মহাশুণ্ডী, ধুসরপত্রিকা। ধূসর কেন? আমার পাতা তো ঘন সবুজ! আমি বর্ষজীবি গুল্ম, ১-২ ফুট উঁচু হতে পারি। কাণ্ড ফাঁপা ও নরম। এর বেজ্ঞানিক নাম- Heliotropium indicum (Boraginaceae). গাছে ও পাতায় বহু শ্বেতবর্ণের লোম আছে। পাতা ডিম্বাকৃতি, খস্খসে ও এক ধরনের অপ্রীতিকর গন্ধযুক্ত।
আমার পুষ্পদণ্ডে কয়েক সারির ছোট ছোট ফুল ফোটে। সাধারণত ৫ পাপড়ীর সাদা-হাল্কা বেগুনি রঙের ফুল।সারা বছরই কিছু না কিছু ফুল ফোটে থাকে। তবে বর্ষার শেষেই প্রচুর প্রস্ফুটন দেখা যায় গুন পর্যায় কটুরস, উষ্ণবীর্য, সন্নিপাত জ্বরে উপকারী।
নব্যের সমীক্ষায় আমার বেশ কদর। আমার গাছে পাইরোলিজিডিন, এলকালয়েড্স, ইনডিসিন, হেলিওট্রিন। আর শিকড়ে আছে এসট্রাডিওল।ফলে চোখের রোগে চামড়ার ব্যাধিতে আমার পাতার রস ব্যবহার কয়রা হয়। পোকামাকড়ের দংশনে,বাত ও কাটা ঘায়ে আমার রস উপকারী। আমার আদি বাসস্থান মনে হয় পশ্চিম ভারতীয় দীপপুঞ্জ।শুনে খুশি হবে আমি দিন দিন জাপান ও আমেরিকাতে বেশ সুপরিতিত হয়ে উঠছি।আমার পাতার গুঁড়ো শস্যখেতের পোকা দমনে নাকি বেশ কার্যকর। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবে, আমার গাছে বা পাতায় বড় একটা পোকা-মাকড়ো দেখা যায় না। আমি সাধারণত রাস্তার ধারে, পরিত্যক্ত ইটখোলায় খেতের ধারে জন্মে থাকি।
নওয়াজেশ আহমদ