নিবারণ পন্ডিত। পিতা ভগবান পন্ডিত। দাদার নাম রাজকিশোর পন্ডিত।মাতার নাম বিন্দু বাসিনী দেবী।স্ত্রীর নাম মীরদা দেবী। আর শশুরের নাম ভগবান চন্দ্রশর্মা।একজনের পদবী ছিল পন্ডিত আর একজনের ছিল শর্মা।দুই বাংলার মা মাটি-মানুষ,দ্রোহ-বিদ্রোহ আর শান্তির গায়ক কবি নিবারণ পন্ডিতের কন ছবি দেখেছে কি কেউ? আজকের প্রজন্ম অনেকেই তার মুখের ছবি দেখেন্নি।জন্ম ১৯১৫ খ্রীঃআর মৃত্যু ১৯৮৪ খ্রীঃ।কিশোরগঞ্জ সদর থানার সগড়া গ্রামে তার বাড়ি ছিল।রশিদাবাদ পাঠশালায় প্রাথমিক তারপর কিশোরগঞ্জ  হাইস্কুলে তিনি অধ্যয়ন করেন।কিন্তু কঠোর দারিদ্রে পতিত হয়ে নানা পেশায় তার জীবন ও জীবিকা পরিচালনা করেছেন।

অতঃপর১৯৪২ খ্রীঃটংক,হাজং ও তেভাগা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট শুরু করেন-গণ সঙ্গীত ও গণ কবিতা রচনা আবৃত্তি ও সঙ্গীত চর্চা।তার টংক কথা ,হাজং আন্দোলনের গান,জনযুদ্ধের গান ইত্যাদি গণ সঙ্গীত বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃষক আন্দোলনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনি গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন।মুক্তি পেয়ে ২৭ ডিসেম্বর ১৯৫০সালে তিনি সপরিবারে ভারতে চলে যান।প্রতিভাবান গায়ক কবি নিবারণ প্পন্ডিত প্রায় তিন শতাধিক গান সঙ্গীত রচনা করেছিলেন।কঙ্কন ভূট্টাচার্যের সম্পাদনায় তার গানের সংকলন ‘নিবারণ পন্ডিতের গান’(১৯৮৬) নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।কিশোরগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আজও শিল্পীদের মূখে নিবারণ পন্দিতের নাম উচ্চারিত হয়।কিন্তু তার কোন ছবি দেখেছেন এ কথা কেউ জোর দিয়ে বলতে শুনিনি।দেখুন নিবারণ পন্ডিতের সেই দুর্লভ মেধাবী মুখের ছবি।যে ছবি কিশাওরগঞ্জের ইতিহাসের পাতায়,কিশোরগঞ্জের গর্ব,কিশোরগঞ্জের অহংকার।পাকিস্তান সরকার নিবারণ পন্ডিত কে বাংলাদেশ থেকে বিতারিত করলেও পশ্চিম বঙ্গের ভারতীয় সরকার ১৯৮১ সালে ১৫ আগষ্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তাদের রাজ্য সরকার গণ সঙ্গীতে এই বিখ্যাত গায়ক কবি ও শিল্পীকে ‘সন্মাণনা’প্রদান করেছিলেন।আর আমরা তার ছবি প্রদর্শন করলাম।সম্প্রতি একটি লেখায় তার গানের বই পাওয়া গেছে বলে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।কিন্তু কে সম্পাদনা করেন তার নাম তথ্যসহ নিবারণ পন্ডিতের কোন ছবি এই কিশোরগঞ্জে কোথাও কোন লেখায় প্রকাশ করা হয়নি। কিশোরগঞ্জে এ ছবি তার প্রথম প্রকাশিত আলোকচিত্র।  

লিখেছেনঃ প্রিন্স রফিক খান