যুদ্ধক্ষেত্রে সেনারা বড় পাখাওয়ালা বিকটদর্শন উড়োজাহাজের দিকে কড়া নজর রাখেন। যন্ত্র ও মানুষের চোখ এড়িয়ে শত্র“সীমায় বিমান নিয়ে অনুপ্রবেশ করা রীতিমতো অসম্ভব। কিন্তু পাখিকে কে সন্দেহ করবে! তারওপর ওটা যদি হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট পাখি হামিংবার্ড? এক ঝাঁক হামিংবার্ড আকাশে ডানা মেললে কেউ তেমন পাত্তা দেবে না। এমনটা ভেবে গা ছাড়া ভাব দেখালে ঘোর বিপদের আশঙ্কা আছে। কেননা তাতে পাচার হয়ে যেতে পারে স্বপক্ষের হাঁড়ির খবর। সত্যিকারের হামিংবার্ডের মতো দেখতে একটি গুপ্তচর উড়ালযান বানিয়েছেন পেন্টাগনে নিযুক্ত গবেষকরা। ছোট ছোট পাখা নাড়িয়ে এগুলো জানালা গলে ঘরেও প্রবেশ করতে পারবে, কিংবা অলস ভঙ্গিতে বসে থাকবে বিদ্যুতের তারে। সঙ্গে থাকা ক্যামেরা-চোখে নজর বুলিয়ে দেখবে চারপাশ। এগুলো একেকটি ১৬ সেন্টিমিটার লম্বা ও ওজনে একটি ব্যাটারির সমান। পরিচালনা করার জন্য বিশেষ কোন জ্ঞানের দরকার নেই। ঘণ্টায় এগার মাইল গতিবেগের পাখিটিকে জয়স্টিক দিয়েই নাড়ানো যাবে। পাঁচ বছর ধরে এ পাখি তৈরির গবেষণায় খরচ হয়েছে ৪০ লাখ ডলার।