২২ অক্টোবর ২০১১ তারিখে ভারতের জাতীয় জলবিদ্যুত সংস্থা (সাৎলুজ জলবিদু্যৎ নিগম কোম্পানি লি.) ও মণিপুর সরকারের মধ্যে টিপাইমুখ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি সম্পাদনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ সরকার নয়াদিলি্লতে দুইজন দূত (ড. গওহর রিজভী ও ড. মশিউর রহমান) প্রেরণ করেন। দিলি্ল সফরের পর ড. রিজভী ‘ভারত সরকার টিপাইমূখে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কিছূ করবে না’ ভারতীয় এই আশ্বাস বাণীটিই আবার ব্যক্ত করেন। ড. রিজভী উক্ত আশ্বাস বাণীতে সন্তষ্ট বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে, যা গত ১৩ ডিসেম্বর পত্রিকান্তরে প্রকাশিত তার একটি লেখায়ও ব্যক্ত করেছেন।

যা হোক ড. রিজভীর এই আত্মতুষ্টির কোনও ভিত্তি খুঁজে পাওয়াই আসলে দুষ্কর। একই কথা দিল্লির পক্ষ থেকে আগেও বলা হয়েছে, এই ঝাপসা আশ্বাসটি আবার শোনার জন্য আমাদের দূতবৃন্দের দিলি্ল পর্যন্ত যাওয়ার কোনওই প্রয়োজন ছিল না।…

ড. রিজভী আসলে টিপাইমুখ প্রকল্পে একটি ‘নদীর বহমানতা’ থাকবে ধরে নিয়ে এক বিভ্রান্তির মধ্যে নিপতিত রয়েছেন। বাস্তবে টিপাইমুখ প্রকল্প হচ্ছে একটি বিশাল ড্যাম যার লক্ষ্য হচ্ছে ১৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার (বিসিএম) ক্ষমতাসম্পন্ন একটি জলাধার সৃষ্টি করা। এই জলাশয়টি নির্মাণ করা মানেই হবে বিশাল পরিমাণের নদীর পানিকে আটকে দিয়ে অবিরাম ধরে রাখা। সর্বোপরি এই ড্যাম ও জলাধারের মাধ্যমে ভারত বরাক নদের ভাটির দিকে পানি প্রবাহের উপর নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা অর্জন করবে।

টিপাইমুখ সমর্থকগণ একটি যুক্তি দেখান যে, এই ড্যাম বর্ষাকালে পানির পরিমাণ হ্রাস করবে ও তার ফলে বন্যার প্রকোপও কমে যাবে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন যে, সে সময় বাঁধের ওপর পানির চাপ কমানোর জন্য বাঁধের স্পিলওয়ে দিয়ে যখন-তখন পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে এই জলাশয় বরং ভাটিতে বন্যার মাত্রা বৃদ্ধিতেই সহায়তা করবে। ভারতে নির্মিত অন্যান্য ড্যামের অভিজ্ঞতা থেকে এ ধরনের অনিচ্ছাকৃত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার প্রমাণ মেলে। টিপাইমুখ সমর্থকদের আরেকটি যুক্তি হচ্ছে যে, এই ড্যাম শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করবে। কিস্তু এটি আসলে ড্যামের মধ্যদিয়ে পানি ছেড়ে দেয়ার কর্মপরিকল্পনার (শিডিউল) ওপর নির্ভর করছে। যদি কোনও সময় জলাধারের ন্যূনতম ধারণকৃত পানির পরিমাণ নিশ্চিত করার জন্য আটক পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হয়, তখন বরং শুষ্ক মৌসুমে ভাটিতে পানির পরিমাণ আরও হ্রাস পাবে।

টিপাইমুখ সমর্থকরা ভুলে যাচ্ছেন যে, সিলেট অঞ্চলের ভূমির বিশেষত্বের কারণে শুষ্ক সময়ে অধিক পানি লাভজনক না হয়ে বরং অধিক ক্ষতিকর হবে। সিলেট অববাহিকার জলাভূমির তলের উচ্চতা অপেক্ষাকৃত কম হওয়ার কারণে এই অঞ্চল শুকনো মৌসুমে অপেক্ষাকৃত শুষ্ক জমিতে অধিক পরিমাণের বোরো ধান উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল। এখন যদি (টিপাইমুখ থেকে ছেড়ে দেয়া) অধিক পরিমাণের পানি এলাকাকে শুকাতে না দেয় তাহলে তার ফল হবে বোরো ধানের ফলন হ্রাস। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে এই ফসল ঘাটতির মূল্য হবে প্রায় একহাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশের পক্ষে এই বিশাল ক্ষতি মেনে নেয়া সম্ভব নয়।

টিপাইমুখ আমাদের শুষ্ক সময়ের পানি বৃদ্ধি করবে বা বর্ষাকালে আমাদের পানির পরিমাণ কমাবে কি-না তা নির্ভর করবে ড্যামটির ‘প্রকৃত পানি নিঃসরণ কার্যসূচি’র ওপর। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে একটি ‘পরিকল্পিত পানি নিঃসরণ কার্যসূচি’।এই কার্যসূচিটি না জেনে কারও পক্ষে বরাক-সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা স্রোতধারায় এই ড্যামের প্রভাব সম্পর্কে কোনও সঠিক ধারণা নেয়া অসম্ভব বিষয়। ১৯৯৪ সনের এফপিসিও পরিকল্পনায় টিপাইমুখবিষয়ক পর্যবেক্ষণটি তাই অনেকটাই ঝাপসা ধারণা নির্ভর ছিল। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে যে, বর্তমান সময়েও টিপাইমুখবিষয়ক ধারণা সেই ১৯৯৪ সনের মতোই অস্বচ্ছ।

টিপাইমুখ নিয়ে বাংলাদেশের অস্বচ্ছ ধারণার সীমানা অতিক্রম করতে না পারার বিষয়টি প্রয়াত রাজনীতিবিদ আব্দুর রাজ্জাক এম.পির নেতৃত্বে জাতীয় সংসদের একটি প্রতিনিধিদলের ভারত সফরের পর থেকে বোঝা যাচ্ছিল। বলা হয়েছিল যে, টিপাইমুখ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছে। কথাটি যদি সত্যি হয়, তাহলে কেন সেসব তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছে না ?

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে টিপাইমুখ নিয়ে দুই দেশের পক্ষ থেকে একটি যৌথ জরিপের কথা প্রায়ই বলা হয়ে থাকে। তবে এ পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবের প্রতি কোনও সায় মেলেনি। তবে একটি বিষয় পরিস্কার নয়: বাংলাদেশ কেন এই সমীক্ষার জন্য ভারত মূখাপেক্ষী হয়ে আছে? বরং টিপাইমুখের প্রভাব বিষয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব সমীক্ষার আয়োজন করাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বাংলাদেশ যদি টিপাইমুখ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করে দেয়, তাহলে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞবৃন্দই একটি সঠিক বিশ্লেষণ দাঁড় করাতে সক্ষম হবেন। শুধু পর্যাপ্ত তথ্যহীনতাই নয়, ১৯৯৪ সনের এফপিসিও সমীক্ষা এরইমধ্যে বিশ বছরের পুরাতন দলিলে পরিণত হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সিলেট অঞ্চলের নদী-গঠন প্রক্রিয়া ভিন্নতা লাভ করেছে। অতএব বাংলাদেশের উদ্যোগে ভারতের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে টিপাইমুখ নিয়ে একটি হালনাগাদ হাইড্রোলজিক্যাল সমীক্ষা সম্পন্ন করা অতি জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৯৯৪ সনের এফপিসিও সমীক্ষায় কোনও অর্থনৈতিক প্রভাব নিরীক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি এটিতে টিপাইমুখের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষাও করা হয়নি। তাই অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত নিরীক্ষণের মাধ্যমে এর হাইড্রোলজিক্যাল সমীক্ষার ফলোআপ সম্পন্ন করাও অতীব জরুরি। ভারত আশ্বাস দিয়েছিল যে, আসামের কাছাড় অঞ্চলে সেচের পানি সরবরাহের লক্ষ্যে টিপাইমুখের ভাটিতে ফুলেরতলে পানি সরিয়ে নেয়ার জন্য কোনও ব্যারেজ তৈরি করা হচ্ছে না। তবে টিপাইমুখের বিদু্যৎ উৎপাদন খরচ হিসেব করলে দেখা যায় যে, তা হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং ফুলেরতল জাতীয় আরেকটি অতিরিক্ত পানি সরানোর প্রকল্প না থাকলে টিপাইমুখ আর্থিকভাবে টেকসই বা কার্যকর হবে না। এমনকি ভারত এখন পর্যন্ত ফুলেরতল ব্যারেজ হবে না এমন কোনও লিখিত চুক্তিও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়নি।

বাংলাদেশের মানুষ টিপাইমুখ প্রকল্প নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন কারণ তারা এটিকে সকল অভিন্ন নদীর ওপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ ও নদীগুলোকে তার নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে ব্যবহারের সার্বিক কৌশলের অংশরূপে বিবেচনা করে থাকে। ফারাক্কা ব্যারেজ আমাদের পদ্মা নদী ও তার শাখা-প্রশাখাগুলোকে ধ্বংস করেছে। গজলডোবা ব্যারেজ বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পটির ব্যবহার অনেকটাই অনুপযোগী করে তুলেছে। এ সম্পর্কিত মানচিত্রগুলো দেখলেই বোঝা যাবে ভারত কিভাবে দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলোর ওপর ড্যাম বা পানি অপসারণমূলক প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।

বাংলাদেশের মানুষ ভারত কর্তৃক দুই দেশের মধ্যকার অভিন্ন নদীর পানি অপসারণ ও নিয়ন্ত্রণের একতরফা ও অসৎ আচরণে ক্ষুব্ধ। তারা মনে করে, ভারত এভাবে অভিন্ন নদীগুলোর প্রাপ্য অধিকার থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করছে।বাংলাদেশের মানুষ আরও লক্ষ্য করছে যে, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করতে যেয়ে ভারত নৌ-পরিবহন বহির্ভূত অভিন্ন নদীপথ ব্যবহার সংশ্লিষ্ট সকল আন্তর্জাতিক আইন, কনভেনশন ও নীতি-নিয়মকে অমান্য বা ভঙ্গ করেছে ।

তাছাড়া টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণের সিদ্ধান্তে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৯৬ সনে প্রণীত গঙ্গা চুক্তিতে সনি্নবেশিত অভিন্ন নদী ব্যবহারে সংশ্লিষ্ট সকল দেশের সম্মতি গ্রহণের ধারাটিকেও অমান্য করছে এবং ২০১১ সনে দু’দেশের মধ্যেকার সম্পাদিত উন্নয়ন বিষয়ক সহযোগিতার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনকেও তোয়াক্কা করছে না। বাংলাদেশের মানুষ লক্ষ্য করছে যে, বাঁধের আর্থিক, পরিবেশগত ও মানবিক ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে মায়ানমার সরকার তার ইরাবতী নদীর ওপর চীন কর্তৃক নির্মানাধীণ ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের জলবিদু্যৎ প্রকল্প মিটসুন ড্যামের নিমার্ণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে চীনা কোম্পানি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও মায়ানমার সরকার তা করতে কোনও দ্বিধাবোধ করেনি।

জাপান কর্তৃক পরিবেশগত সমীক্ষার পর গত ০৮ ডিসেম্বর, ২০১২ লাওস সরকার নিম্ন মেকং নদীর ওপর নির্মিতব্য ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের যায়াবুরি ড্যামটিরও নির্মাণ বন্ধ করে দেয়। মেকং নদী কমিশন কাউন্সিলও এই সিদ্ধান্তটি মেনে নিয়েছে, কারণ ১২৬০ মেগাওয়াটের এই ড্যামটি নিয়ে লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া কোনও ঐকমত্যে পৌছুতে পারছিল না।

বাংলাদেশের মানুষ জানে যে, টিপাইমুখের বিরুদ্ধে ভারতের মণিপুর ও সন্নিহিত অন্যান্য রাজ্যে শক্তিশালী আন্দোলন চলছে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও বাঁধবিরোধী আন্দোলন রয়েছে। নদী ও প্রাকৃতিক চরিত্র ও প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য ভারতে চলমান সকল পরিবেশকমর্ী ও বিশেষজ্ঞদের আন্দোলনের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ শ্রদ্ধাশীল ও অকুন্ঠ সমর্থক। তারা এতদাঞ্চলের সকল রাষ্ট্রকে তাদের অনুসৃত নদীর প্রতি বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে প্রকৃতির দিকে দৃষ্টিদানে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সকল দেশের জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ কাজে আগ্রহী।

উপরোল্লেখিত বিষয়াদির প্রেক্ষিতে বর্তমান সময়ে আমাদের দাবি ও সুপারিশসমূহ নিন্মরূপ:

(ক). ভারতকে অবশ্যই একতরফাভাবে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণকাজ বন্ধ করতে হবে।
(খ). অনতিবিলম্বে বাংলাদেশকে বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন-সহ টিপাইমুখড্যামের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। বিশেষ করে উক্ত ড্যামের ‘পরিকল্পিত পানি নিঃসরণ কার্যসূচি’ সংগ্রহ করতে হবে।
(গ). বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি নিরপেক্ষ তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক টিপাইমুখ ড্যামের অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, মানবিক সমীক্ষা সম্পন্ন করার দাবি উত্থাপন করতে হবে।
(ঘ). বাংলাদেশের নিজের উদ্যোগে টিপাইমুখ প্রকল্পের ওপর হাইড্রোলজিক্যাল, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা পরিচালনা করতে হবে।
(ঙ). বাংলাদেশকে টিপাইমুখ সম্পর্কিত সকল তথ্যসংগ্রহ করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে যাতে নিরপেক্ষ গবেষকবৃন্দ তার বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা করতে পারেন।
(চ). বাংলাদেশকে দুই দেশের প্রায় সকল অভিন্ন নদীর ওপর ভারতের পানি প্রবাহ নিরোধক বা অপসারণমূলক সার্বিক পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই টিপাইমুখকে বিবেচনা করতে হবে। যে ভৌগলিক সুবিধার কারণে ভারত বাংলাদেশের নদ-নদীর ওপর এসকল অবকাঠামো নির্মাণ করছে, সেই একই ভৌগলিক সুবিধার কারণে ভারতকেও ট্র্যানজিট প্রদানের সিদ্ধান্ত যদি নেয়া হয় তবে তার পূর্বশর্ত হিসেবে আমাদের অভিন্ন নদীসমূহের ওপর তাদের সকল প্রবাহ নিরোধক বা অপসারণমূলক অবকাঠামো অপসারণের শর্ত মেনে নিতে রাজি করাতে হবে।
(ছ). বাংলাদেশকে ১৯৯৭ টঘ ঈড়হাবহঃরড়হ ড়হ ঘড়হ-হধারমধঃরড়হধষ টংব ড়ভ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ জরাবৎং-এ স্বাক্ষর করতে হবে এবং ভারতকেও তাতে স্বাক্ষর করার জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।
(জ). বাংলাদেশকে নিজের দেশের নদীগুলোর বিষয়ে নদীর প্রতি প্রাকৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য সকল দেশকে তা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
(ঝ). বাংলাদেশের নদী ও পরিবেশ কর্মীদেরকে ভারতের নদী ও পরিবেশ কমর্ীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং নদী ও পরিবেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আঞ্চলিক গণ-আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে।
(ঞ). বাংলাদেশের নদী ও পরিবেশ কর্মীদের নিজ উদ্যোগে ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক টিপাইমুখ সম্মেলন আয়োজন ও প্রয়োজন হলে টিপাইমুখের প্রভাব বিষয়ে একটি বেসরকারি সমীক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ডা. মো. আব্দুল মতিন,
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)