নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে গতকাল বুধবার সকালে আল আমিন (১৮) নামের এক তরুণ খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় বাবা রহিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই দিন সকালে উপজেলার অর্জুনেরচর গ্রামের এক কলাবাগান থেকে সাজেদা বেগম (২৮) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি শিবপুর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রিকশা চালিয়ে দুই মাসে এক হাজার টাকা সঞ্চয় করেন দৌলতপুর গ্রামের রহিম উদ্দিন। গতকাল তাঁর বড় ছেলে আল আমিন ওই টাকা নিয়ে ঢাকা যেতে চাইলে তিনি আপত্তি জানান। এ নিয়ে বাবা ও ছেলের বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে রহিম উদ্দিন ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে আল আমিন ঘটনাস্থলে মারা যান। গ্রেপ্তার হওয়া রহিম উদ্দিন বলেন, ছুরিকাঘাতে ছেলে মারা যেতে পারে, এমন ভাবনা তখন মাথায় খেলেনি।
আল আমিনের মা হেলেনা বেগম জানান, ছুরি নিয়ে টানাটানির একপর্যায়ে ছুরিটি মাটিতে পড়ে যায়। তাঁর ছেলে ওই ছুরির ওপর পড়ে গিয়ে মারা যান। ছেলেকে হত্যা করা তাঁর স্বামীর উদ্দেশ্য ছিল না বলে হেলেনা জানান।
একই দিন সকালে অর্জুনেরচর গ্রামের ব্রাহ্মণপুত্র নদের পারে একটি কলাবাগানে এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে সাজেদার ভাই আমজাদ হোসেন লাশটি তাঁর বোনের শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, ছয় বছর আগে চট্টগ্রামের বাবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বোনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে তিন মাস আগে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাকরির খোঁজে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে সাজেদা বাড়ি থেকে বের হন। সকালে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আল আমিন খুন হওয়ার ঘটনায় এখনো কেউ মামলা করেনি। সাজেদার মৃতদেহের পাশ থেকে টিউবওয়েলের লোহার হাতল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই হাতল দিয়ে আঘাত করে সাজেদাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাজেদার ভাই আমজাদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।