লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বসন্তপুরে আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ে গতকাল রোববার রাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ আজ সোমবার চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজিতপুরবাসী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পায় না। এখন লোডশেডিং আরও বেড়েছে। চরম গরমে এখানকার মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গিয়ে রাত নয়টায়ও বিদ্যুৎ আসেনি।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে নয়টার দিকে এলাকার কয়েক শ মানুষ জড়ো হয়ে মিছিল বের করে। এতে নারীসহ আরও কয়েক শ ব্যক্তি যোগ দেয়। একপর্যায়ে তাঁরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে পেট্রল ঢেলে ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় কার্যালয়ে কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তবে জনতার বাধার মুখে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়। তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু এর মধ্যেই ভবনের আসবাবপত্র ও কাগজপত্র পুড়ে যায়।

এ ব্যাপারে বাজিতপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী মফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘চাহিদার বিপরীতে আমরা অর্ধেকও সরবরাহ পাই না। ফলে দিনে ১২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।’ গ্রাহক অসন্তোষ থেকে কার্যালয়ে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রহমান বলেন, আবাসিক প্রকৌশলী মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ মামলায় উপজেলার সরারচর এলাকার মোর্তুজা জাহাঙ্গীর (৪০), বসন্তপুরের মেহেদী আল মামুন (৩৫), বেপারীপাড়ার দুলাল মিয়া (৪০) ও মঞ্জিল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তবে মোর্তুজা জাহাঙ্গীর ও মেহেদী আল মামুন গতকালের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

-প্রথম আলো