গচিহাটা রেল ষ্টেশনের ৫ মাইল উওর পূর্বে-সিংগুয়া নদী হতে উৎপন্ন হয়ে নকলা ফেরীঘাট অতিক্রম করে সুতী নদী চানপুর হাওরের পূর্ব পাশ দিয়ে রউহা বিল হয়ে ঘোড়াউতরায় পতিত হয়েছে। স্হানীয় ভাবে সুতি গাঙ নামে পরিচিত। বর্ষাকালে নাব্য, দৈর্ঘ্যে প্রায় ৭ মাইল (প্রায় ১১.২ কিঃমিঃ)। মলুয়া পালাগানে সুতি বা সুত্যা নদীর কথা আছে, নায়ক চাঁদবিনোদের বাড়ী ছিল “সুত্যা” নদীর কূলে। আজ তার চিহ্নও আজ় আর নেই ।ফুলেশ্বরী তাড়াইলের জালিয়া হাওড় হতে বের হয়ে তেউরিয়া ও কাওখালীর পূর্ব দিক দিয়ে ধলা গ্রামের পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে জাওয়ার ও সেকান্দর নগরের ভিতর দিয়ে পাতুয়াইর গ্রামের দক্ষিণদিক দিয়ে প্রিবাহিত হয়ে পশ্চিমে নরসুন্দার সাথে মিলিত হত। এ নদী আজ মৃত। কেউ কেউ একে নরসুন্দার শাখা নদী হিসেবে বলে থাকেন। চন্দ্রাবতীর লেখা থেকে জানা যায় যে, ফুলেশ্বরী একদা প্রাণবন্ত ছিল। চন্দ্রাবতী লিখেছেন, “ধারা স্রোতে ফুলেশ্বরী নদী বহি যায়” ।