অনন্ত লতার সঙ্গে প্রথম পরিচয় বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনে। গোলাপি রঙের ফুলের থোকা সারাটা গ্রীষ্মজুড়ে ফুটে থাকে। এই লতা ঢাকার ঝোপঝাড়, বাড়ির দেয়ালেও দেখা যায়। রাজধানীর বাংলামোটর ফেলে হাতিরপুলের দিকে যাওয়ার সড়কে এবং ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কে এ লতাটি অনেক দিন ধরেই টিকে আছে। নাগরিক ছাপ থাকলেও দেয়ালের গায়ে অযত্নেই এই লতা বেয়ে চলে।

লতানো কাণ্ড কোনাচে ও খাঁজকাটা। লম্বায় ২০ থেকে ২৫ ফুট হয়। সবুজ পাতা হূৎপিণ্ডাকার। বিন্যাস একান্তর। পাতার প্রান্তে আকর্ষী থাকে, যা কাণ্ডকে হেলে পড়া থেকে রক্ষা করে। লতার বৃদ্ধি দ্রুত হয়। ফুল ফোটে গ্রীষ্মে। পাতার কক্ষে লতার আগায় ছোট ছোট গোলাপি ফুল। বৃত্যংশ চারটি, রঙিন।

অনন্ত লতার বৈজ্ঞানিক নাম Antigonon leptopus। ইংরেজি নাম মেক্সিকান ক্রিপার। লাল ও সাদা রঙের ফুলও ফোটে, তবে সাদা ফুল আমাদের দেশে দুর্লভ।ক্রান্তীয় প্রজাতির অনন্ত লতা প্রধানত শহরের উদ্ভিদ। দেশের বিভিন্ন জেলায় এর দেখা পেয়েছি, তবে গ্রামে কমই চোখে পড়েছে। মাচা কিংবা দেয়াল আচ্ছাদন হিসেবে বেশ মানায়।গোলাপি রঙের দৃষ্টিনন্দন ফুলের কারণে অনন্ত লতার কদর দিন দিন বাড়ছে। সম্ভবত সৌন্দর্যের কারণেই বাংলায় মিশনারিরা এ লতার আগমন ঘটিয়েছে।

-Prothom Alo