হাওর, চর, পাহাড় এবং দ্বীপাঞ্চলের জনপদ আলোকিত করার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় উপহার হলো সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা । এর ফলে জীবন যাত্রা সহজ, স্বাচন্দময়, আনন্দদায়ক হয়েছে । সৌর বিদ্যুতের ফলে এই সব এলাকার মানুষের অনেকেই প্রথমবারের মত বিজলী বাতি দেখেছে । সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে টিভি, লাইট, মোবাইল চার্জিং কত কাজই না করছে হাওরবাসি । কেরোসিনের কুপি বাতির মিট মিট আলোর দিন এখন প্রায় খতম হতে চলছে । সম্ভাবণার স্বর্ণ দ্বার উন্মোচিত হয়েছে এ সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে।
হাওরে বিদ্যুতের অভাবে সাধারণত ডিজেল চালিত পাম্পে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করে । সৌর বিদ্যুতের সংযোগ পাম্পে দিতে পারলে উতপাদন খরচ অনেক কমে যাবে। অন্য ক্ষেত্রে, কল-কারখানায়ও তা সম্প্রসারণ হতে পারে । জ্বালানী- কেরোসিন, ডিজেল এর মূল্যের উর্ধ গতির বিপরিতে সৌর বিদ্যুত তাঁদের কাছে আর্শীবাদ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে ।
হাওর, চর, পাহাড় এবং দ্বীপাঞ্চলের জনপদের কিছু পরিবার এ সুবিধার আওতায় এসেছে । বিদ্যুতের আওতার বাহিরে রয়েছে বেশি অংশ । এসব অঞ্চলের মানুষ অনেক কষ্টে, ধার কর্জ , দাদনে, কিস্তিতে সৌর বিদ্যুত ক্রয় করে । অনেক বেশী দামে কিনতে হয় । কিন্ত ব্যাটারি এবং বিদ্যুত প্যানেল প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায় । বদলানো আরো কষ্ট ও ব্যয় বহুল । এ গুলোর উপর ভূর্তকি দরকার । এ বিনিয়োগে রিটার্ণ দিবে শত গুণ ।
সরকার বিদ্যুত খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভূর্তকি দিচ্ছে । বিদ্যুত উতপাদন এবং শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত অন্যতম জ্বালানী প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় ৯০% হাওরের চারি পাড় হতে আহরিত হয় । কিন্ত তাঁরা এর সুবিধা হতে বঞ্চিত । দেশের পশ্চাতপদ এ সব অঞ্চলের প্রায় তিন কোটি লোকের জীবন যাত্রার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ইপিজেড, শিল্প, এবং আইটি পার্ক স্থাপণ পরিহার্য । এ জন্যে হাওরাঞ্চলে বিদ্যুত প্লান্ট, এবং গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানাও স্থাপন সময়ের দাবী । এ অবস্থায় আমি সৌর বিদ্যুতের উপর আসন্ন বাজেটে সর্বোচ্ছ ভূর্তকি বরাদ্দের জোর দাবী করছি ।
ড নিয়াজ পাশা
কৃষি প্রকৌশলী, গ্রাম-লাইম পাশা, ইটনা, কিশোরগঞ্জ ।
ফোনঃ ০১৭২৭ ৯৭৪ ৫৮৪;