poem_in_art

যদি একটু অভয় দিতে… কিছু বলার ইচ্ছে ছিল


তোমার চোখের ভেতর দিয়ে বিশ্ব দেখার ইচ্ছে ছিল
অনুভূতির সমুদ্র্রে স্নান করার বাসনা লালন করছি শতাব্দীকাল থেকে
ধূতির রঙের মত সাদামেঘ অবলীলায় আল্পনা এঁকে যায় তোমার সুশ্রী মুখে ;
পৃথিবীর সব কামিনী ফুল গন্ধ ছড়াতে ভুলে যায় তোমার রূপের জৌলুস্য দেখে
তোমার চাহনিতে হার মানে পৃথিবীর সব সাজানো মুগ্ধতা
তুমি জান কি
চন্দ্রের সকল স্নিগ্ধতা তোমাকে ঘিরে?
তোমার শৈল্পিক দেহের আভায় সব বয়োবৃদ্ধরা ফিরে পায় হারানো যৌবন!
উঠতি কিশোরেরা নতুন করে চুলে পোজ দেয়
তামাটে রঙের মেয়েরা নিচের দিকে চায়
আর কালো মেয়েরা গোপনে স্রষ্টাকে অভিশাপ দিয়ে নিজেকে প্রবোধ দেয়-যুবকেরা?
তাদের কথা নাই বা বললাম !
ছায়াবৃত্তের ক্যানভাসে প্রত্যাশার দেবতার সাথে দাঁড়িয়ে
…  যদি একটু অভয় দিতে… কিছু বলার ইচ্ছে ছিল।


স্বপ্নময়ী, হাতটা বাড়াও না–আমি কী আর না করবো !


কতদিন হয় তোমায় দেখি না
ইচ্ছে হলেও ছুঁয়ে দেখা হয় না তোমার নগ্ন নির্জন হাত
আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ধরে হাঁটা হয়ে উঠে না কয়েকশ বছর ধরে
গোধূলির মত রক্তিম ঠোঁট কেবলি হাতছানি দেয় কাছে আসার
চোখে চোখ রেখে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ভিজতে ইচ্ছে করে ভালবাসার বৃষ্টিতে
নক্ষতের মৃদু আলোয় তোমার কপালে তিলক আঁকতে ইচ্ছে করে
স্বপ্নময়ী,  হাতটা বাড়াও না
আমি কী আর না করবো !


কাছে আসো –  আরও কিছু বলার আছে


এত দূর থেকে কি আর হৃদয়ের চাষবাস হয়? কাছে আসো
আরও
নক্ষত্রের মৃদু আলোক জলে আজ স্নান করবো
ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কথামালা দিয়ে আজ বানাবো বাসর
বোধের ভেতর দিয়ে ঘুরে আসব চৈনিক সভ্যতার প্রচ্ছদপট
নয়াগ্রার স্বচ্ছ জল হয়ে ফিরে আসব মৃত্তিকা শরীরে; কাছে আসো
আরও কিছু বলার আছে।


তোমার শহরে সন্ধ্যা


প্রত্যাশা ভক্ষণ করে প্রলেপ দেই তৃষ্ণার চাদরে
পুঞ্জত পুঞ্জত বিরাম চিহ্ন জায়গা খোঁজে হৃদয়ের অন্দর মহলে
ভালবাসা চরাট করে তোমার শহরে সন্ধ্যা আসে
পৃথিবীর হৃদয় রোমন্থন করে আকাঙ্ক্ষার পরিবার পাড়ি দেয় তোমার শহরে
নিয়ন আলোয় লুটোপুটো খায় গোপন স্বপ্নেরা
পৃথিবী ছিদ্র করে বৃষ্টি নামে
আমি ভিজলে আমিই ভিজি কিন্তু তুমি ভিজলে শহর ভিজে যায়।

 

শুধু একটি বার ছুঁয়ে দেখব – না করো না প্লিজ


কতদিন হয় পূর্ণিমার চাঁদ দেখি না
উলঙ্গ জোছনায় স্নান করি না
ছুঁয়ে দেখা হয় না শতাব্দীর নিংড়ানো সুন্দর!
গ্রহণের কাল লেগেই থাকে।
দৃষ্টির সীমানা জুড়ে বিমূর্ত নান্দনিক কথামালা ভেসে বেড়ায়
তবুও প্রত্যাশা
মহাকালের কোন এক ছুটির ঘণ্টায় তোমায় দেখব।
চন্দ্রিমা, শুধু একটিবার ছুয়ে দেখব
না করো না প্লিজ!


তুমি আর আমি


স্নিগ্ধ বিকেলের ভাললাগার সমস্ত নির্যাস
সেদিন আমি দেখেছিলাম তোমার চোখজুড়ে,
চাহনিতে ছিল পূর্ণিমার ভরা জোয়ার;
পিরামিডের আজন্ম রহস্য ছিল দৃষ্টির ভাঁজে ভাঁজে
ভ্রুর আঙিনা জুড়ে ব্লাকহোলের সুতীব্র শতদল
সময় রোমন্থনে নির্বিকার সুন্দর;
ডাগর চোখের শৈল্পিক ভাষায় সভ্যতা থেকে সভ্যতার হাতছানি,
আবির মাখা ঠোঁটের মৃদু কম্পনে রোমান্টিকতার ঢেউ
পুনঃপুনঃ জন্ম নেয় সমুদ্র জোয়ারের মত;
বৈরি হাওয়া চিত্রকরের আলেখ্য এঁকেছিল চুলের প্রান্তীয় অঞ্চলে;
চিবুক জুড়ে ছিল জগৎবিখ্যাত টাইটানিকের বিষ্ময়!
সবুজ ঘাস ছুঁয়ে পাশাপাশি, কাপড় ধরার ছলে
আলদো ছুঁয়ে দিয়েছিলে আমার হাত, মুহূর্তেই মনে হল
মাইকেল জ্যাকসনের কোটি কোটি ভক্তের
সব আনন্দের অংশ যেন স্থান করে নিয়েছে অনুভূতির সকল স্তর,
আগ্নেয়গিরীর লাভা উদগীরণের সমস্ত উষ্ণতা সঞ্চিত হয়েছিল
অন্তঃকোঠরের প্রাচীর জুড়ে – সব ভ্রমরেরা ঈর্ষায় যেন কমর্ক্লান্ত;
দৃষ্টির সীমানা জুড়ে আর কেই ছিল না
শুধু ছিলাম তুমি আর আমি… আর ছিল প্রকৃতির ঐ নিটোল দেশ।