মাস দেড়েক আগে টিলা থেকে নেমে আসা একদল বানর লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। পাকা আমন ধানের খেতে খাবার খুঁজতে থাকে তারা। একসময় তেড়ে আসে মানুষ। সবাই পালাতে পারলেও আটকা পড়ে বানরের শাবকটি। কিছু লোক দলছুট শাবকটিকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। বাদসাধেন স্থানীয় এক যুবক। তিনি শাবকটিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের।
সম্প্রতি বিশ্বনাথপুরের সিপার রেজার (৩০) বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, সকালের রোদে কুকুরের পিঠে চড়ে উঠানে ঘুরে বেড়াচ্ছে শাবকটি। কিছুক্ষণ পর পর ঝুলে স্তন থেকে দুধ পান করছে সে। রেজা জানান, উদ্ধারের সময় শাবকটির বয়স এক-দুই মাস (আনুমানিক) ছিল। এটিকে উদ্ধারের দু-তিন দিন আগে তাঁদের বাড়ির পোষা কুকুরটি সাতটি বাচ্চা দেয়। প্রথম দিন দেখেই কুকুরটি ছুটে এসে শাবকটিকে কাছে টেনে নেয়। এর কিছু সময় পর ক্ষুধার তাড়নায় শাবকটি দুধপানে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। এখন নিজের সন্তানের মতো শাবকটিকেও দেখভাল করছে কুকুরটি। রেজার ভাষ্যমতে, বানরের শাবকটিকে কেউ কেড়ে নিতে চাইলে কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। রাতেও শাবকটি কুকুরের সঙ্গেই থাকে। শীতে যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য গোয়ালঘরের এক পাশের মেঝেতে খড় ও চটের বস্তা বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রমাপদ দেব বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য এ মমতা দেখায় কি না, জানি না। বানরের শাবকটি সুস্থ আছে। দুধপানে তার শারীরিক কোনো সমস্যা হবে না।’
– পোষ্ট টি সংগ্রহীত