ঘুঘু পায়রা জাতের পাখী।এদের বাগানে, মাঠে ,ঘাটে অবিরত দেখা যায়।বৈজ্ঞানিক নাম– Streptopelia chinensis । বিশ্বে কলম্বিডি নামের এই পরিবারে পাখি আছে ৩১০ প্রজাতির। আমাদের দেশে প্রজাতির সংখ্যা ১৬। তবে কেবল ঘুঘুই আছে অন্তত ৭ প্রজাতির। সচরাচর সারা দেশে যেটি দেখা যায় সেটি তিলাঘুঘু। বুকের নিচে ধূসর। পিঠ বাদামি। গলায় কালোর মধ্যে সাদা ফোঁটা। আকার ২৮ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার।
একটু নিচু ঝোপঝাড়ে ঘুঘু বাসা করে। প্রতিবার এক জোড়া করে বছরে তিনবার ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটলে প্রথম দুই-তিন দিন মা ঘুঘুর মুখ থেকে একরকম লালা নিঃসরণ হয়। এটাই ছানার খাদ্য।
কবুতরের ক্ষেত্রেও তাই, একে বলে ‘পিজিয়ন মিল্ক’।ডাকের আওয়াজ থেকে নাম “ঘুঘু”আমাদের দেশে যত ধরনের ঘুঘু দেখা যায়, তার মধ্যে সবুজ ঘুঘু (Chalcophaps indica) সবচেয়ে সুন্দর।
ছায়াঘেরা বনের নির্জন জায়গায় খুব সকালে ও বেলা শেষের দিকে খাবার খুঁজে বেড়ায়। বাকি সময় বৃক্ষডালে বসেই সময় কাটায়। কোনো রকম টা-টু শব্দ পেলেই দ্রুতবেগে উড়ে যায়। পাখিটির ডানা ও পিঠের পালক সবুজ, ঠোঁট লাল। কপাল সাদা, মাথা ছাই রঙের, লেজ কালচে। গ্রীষ্মে দুজনে মিলে ঝোপঝাড়ে বাসা বাঁধে।
সবুজ ঘুঘু
কুন্ঠি ঘুঘু
লিখেছেন-রেজওয়ান