কিশোরগঞ্জ জ়েলার ইটনা থানাধীন শিমুল বাক গ্রামে ১৩ জৈষ্ঠ্য ১৩২৫ বংগাব্দ ইংরেজী ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে তাহেরুদ্দীন মল্লিক জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম মুহাম্মদ মাওলা বখশ মল্লিক আলাউদ্দীন হুসেন শাহ এর সেনাপতি গৌরাই মল্লিকের সংশ্লিষ্টতায় অধস্তন পুরুষ ছিলেন মল্লিকের পুর্ব পুরুষ। গ্রামের মক্তবে লেখাপড়া শেষ করে ১৯৩৩ সালে তাহেরুদ্দীন মল্লিক মাইনর পাস করেন। গ্রামের প্রাইমারি স্কুল স্থাপনের মাধ্যমে সেখানে শিক্ষকতা করে তার কর্মজ়ীবন শুরু করেন। এরপর তিনি তৎকালীন বাংলার রাজধানী কলকাতায় চলে যান। কলকাতা থেকে ফিরে ১৯৪২ সালে ময়মনসিংহ শহরে পুস্তক ব্যবসা শুরু করেন।
পরে নিজ এলাকায় ইউনিয়ন বোর্ড এর সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ময়মনসিংহ শহরে প্রেস স্থাপন করে “ভোরের সানাই” পত্রিকা বের করেন। পরবর্ত্তীতে ১৯৬৩ সালে “মাসিক মমেনশাহী” প্রকাশ করেন। পঁচিশ বছর ময়মনসিংহ মুদ্রন ব্যবসায় ও তিনি সফলতা লাভ করতে পারেন নি। ইত্তেফাক গ্রুপের প্রকাশনা “সাপ্তাহিক রোববার” পত্রিকায় তিনি দুবছর কাজ করেন। এ সময়ে রেডিও বাংলাদেশের কথিকা পাঠে এ অংশ নেন।
সারা জীবন একজন একনিষ্ঠ সাহিত্য কর্মী হিসাবে তার জীবন চলার বাকে সফল না হলেও সাহিত্য কর্মে তার সফলতা উল্লেখযোগ ।তার ঐকান্তিক প্রচেস্টায় ময়মনসিংহ শহরে বেশ কয়েকটি সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ময়মনসিংহ “শুক্রবাসরীয়” সাহিত্য সংসদকে কেন্দ্র করে যে সাহিত্য বলয় সৃস্টি হয় তা থেকেই অনেকে এ লাইনে প্রতিষঠা পেয়েছেন। তিনি এই সংসদের প্রতিষঠাতা সভাপতি। এক সময় বৌলাই জমিদার বাড়ীতে যে শায়েরে মুশয়ারা হত সেখানে কবি খাল্লেদ বাংগালীর সাথেও তিনি শায়েরে মুশয়ারায় অংশ গ্রহন করেন। তার প্রকাশিত আরও সাহিত্য কর্মের মধে ‘সমাবেশ’ (কাব্য) জানার মত (কাব্য) “হয়বত নগরের কথা’ ও ‘চেনা মানুষের জারী’ উল্লেখযেয়াগ্য।
কিশো্রগঞ্জের মাটির পরতে পরতে রয়েছে তাহেরুদ্দীন মল্লিক সাহেবের অবাধ বিচরন। সময় পেলেই গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরতেন তিনি। সাহিত্য এর খনি আহরন করতে এ ভাবেই কিশো্রগঞ্জ কে তিনি আত্মস্থ করেছেন তার মননে মেধায় এবং লেখায়। সাহিত্য ক্ষেত্রে এ নির অলস প্রচেস্টার সৃকৃতি সরুপ কিশো্রগঞ্জ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ তাকে সাহিত্য পদকে ভুষিত করেন।
কিশোরগঞ্জের রেল স্টেশনের পুর্বে তারাপাশায় ছিল তার পুর্ব পুরুষের নিবাস।চারভাই এক বোনের মধে তিনি ছিলেন ২য়। দুই ছেলে ও চার কন্যা সন্তানের জনক তাহেরুদ্দীন মল্লিক স্থায়ী ভাবে ৫২/এ কলেজ রোড ময়মমনসিংহ শহরে নিজ বাসায় দীর্ঘ দিন বসবাস করেন। তার বড় ছেলে আলী আহমেদ মল্লিক জাহাঙ্গির নগর বিশবিদ্যালয়ে দশণ বিভাগে অধ্যাপনা করেন।
১৯৯০ সালে তিনি তৎকালীন সময়ে ময়মমনসিংহ শহরের সাহিত্য সংসদ কতৃক গুনীজন হিশাবে সংবর্ধিত হন। তিনি ৪ নভেম্বর ২০০৪ ময়মমনসিংহ নিজ বাসভবনে পরলো্ক গমন করেন।