কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম নেতা সাংবাদিক ও সুলেখক ভুপেশ গুপ্ত কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানায় ১৯১৪ খ্রীস্টাব্দে  অক্টোবর মাসে জন্ম গ্রহন করেন । তার পিতার নাম মহেশ চন্দ্র গুপ্ত। ভুপেশ গুপ্ত কলিকাতার স্কটিস চার্চ কলেজে পড়ার সময়েই দেশের বৈপ্লবিক আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৩ এর মধ্যে মোট চারবার কারাবরন  করেন। ১৯৩৩ এর গ্রেপ্তার পর ৩৭ পর্যন্ত তাকে জেলে কাটাতে হয়।

ভারতের বহরমপুর বন্দিশিবিরে  থাকার সময়ে তিনি  বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন। ভুপেশ গুপ্ত শুধু রাজনিতিবিদ ও আইনজিবি ছিলেন না, তিনি সুলেখক ও কৃতি সাংবাদিক হিশাবে প্রচুর সুনাম অর্জন করেন।  ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালিন মুখপাত্র “দৈনিক স্বাধীনতার” তিনি  ছিলেন  একজন  সম্পাদক মন্ডলী্র সভাপতি। বিশ বছরের অধিক কাল তিনি সিপিআই এর মুখপত্র “New age” এর সম্পাদনার দয়িত  পালন করেন। ইংরেজী ও বাংলায় তিনি অনেকগুলি গ্রন্থ রচনা করে্ছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ “ ফ্রিডম আন্ড দা সেকেন্ড ফ্রন্ট, টেরর অভার বেঙ্গাল, সেকেন্ড ফাইভ ইয়ার প্লান এ ক্রিটিক, বিগ লুট প্রভৃতি উল্লখযোগ্য । উল্লখ্য যে ভুপেশ গুপ্তের বাবা মহেশচন্দ্র জমিদার ছিলেন। ইটনা মহেশ চন্দ্র হাই স্কুল তার বাবার অবদান। কিশোরগঞ্জের এই স্বনামধন্য রাজনৈতিক বাক্তিত্ত ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে ৬ অগাস্ট মস্কোতে  মৃত বরন করেন। মৃতুকালে চিরকুমার ভুপেশ গুপ্তের  বয়স হয়ে ছিল ৭০ বছর। 

ইটনা ও খরমপট্টির (বর্তমানে পরিতাক্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়) দুটি পুরান বাড়ি আজও ভুপেশ গুপ্তের কথা কিশোরগঞ্জ বাসির মনে দাগ কাটে। বাংলাদেশের ও ভারতীয় বৈপ্লবিক  আন্দলনের সাথে জরিত ছিলেন। জেল খানা থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ইংলাল্ডে গিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে  ভর্তি হন ও আইন বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি নেন। পরে মিডল টেম্পল থেকে বারিস্টারি  পরিক্ষাতে ও কৃতকার্য হন।  দেশে ফিরে পুনরায় কমিউনিস্ট পারটির আন্দলনে পুরপুরি নিজেকে  যুক্ত করেন।  ১৯৪৮-৪৯ এ বেশ কয়েকবার আত্ম গোপনে ছিলেন । ১৯৫১  খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কারাগারে  ছিলেন।

কারাগার থেকে সে বছরি তিনি রাজ্য সভার সদস্য নির্বাচিত হন। সেই থেকে এক টানা উনত্রিশ বছর তিনি ভারতীয় কংগ্রেসের রাজ সভার সম্মানিত সদস্য ছিলেন।