বিমান প্রযুক্তিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে বিশ্বখ্যাত বেলুন অভিযাত্ত্রী বারট্রেড পিকার্ড এর আর্থিক সহায়তায় বিশ্বের  সর্বপ্রথম  সম্পুর্ন সৌ্রশক্তি চালিত বিমান গত ৮ জুলাই ২০১০ সুইজারলান্ড এর পেয়ার্ন বিমান বন্দর থেকে ২৮ ঘন্টার সফল পরীক্ষামুলক উড্ডয়ন শেষে নিরাপদে অবতরন করেছে। 

এ পরীক্ষামুলক উড্ডয়নের মূল উদ্দেশ্য ছিল দিনের সূর্যালো্কে ডানায় কো্ষগুলিতে সংগ্রিহীত শক্তি দিয়ে সূ্র্য বিহীন নিকষ  কালো রাত্রে সঞ্চিত শক্তি দিয়ে নির্বিঘ্নে উড্ডয়ন। যদিও  আকাশ পরিবেশ/বায়ু বান্ধব ১২০০০ কোষ এর সৌ্রশক্তি চালিত বিমানের সফল উড্ডয়নে নতুন দিগন্তের উন্মচন হল, কিন্তু খুব শীঘ্রই বানিজ্যিক ভিত্তিতে এ ধরনের বিমানের ব্যবহার সুদুর প্রসারী।

এ বিমানে আছে এক আসন বিশিষ্ট ছোট ককপিট, বিমানের পিছনের অংশ (ফিউজিলাজ) খুব সরু কিন্তু ডানার দৈ্ঘ্য অত্ত্যাধুনিক ৭৭৭ যাত্রীবাহী বোয়িইং বিমানের সমান। প্রায় ঘন্টায় ৭৫ মাইল গতিতে ২৮৫০০ ফিট উচ্চতায় আরোহন করতে সক্ষম এ বিমানের সৌ্রশক্তি কোষগুলি বিমানের বিস্তৃত ডানায় অবস্থিত। এই পরীক্ষামুলক বিমানের পাইলট ছিলেন এনভার বচবার্গ।