কিশোরগঞ্জ জেলায় অবিলম্বে নতুন কারাগার নির্মাণ জরুরি। ১৫ বছর আগে জমি অধিগ্রহণ, সীমানাপ্রাচীর ও মাটি ভরাট করে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় করার পরও নতুন কারাগার নির্মাণ প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। পুরোনো কারাগারে ধারণক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি বন্দী বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারের শীর্ষপর্যায়ে কিশোরগঞ্জের একাধিক রাজনৈতিক নেতা থাকার পরও কারাগারটি নির্মিত না হওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক।

গতকাল বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগার পরিদর্শন বোর্ডের ত্রৈমাসিক সভার উপস্থিত সদস্যরা এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন দীন মোহাম্মদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার জাহান, ভারপ্রাপ্ত করা সুপার মো. আবদুল্লাহ আল-মাসউদ, সহকারী কমিশনার তাহমিদুল হক প্রমুখ।
সভার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে আট শতাধিক বন্দীর মধ্যে নিষিদ্ধ জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ৩০ জন দুর্ধর্ষ বন্দী রয়েছেন। কারাগারে পর্যাপ্ত কারারক্ষী নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে জনবল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এ ছাড়া কারা হাসপাতালে একজন সেবিকা নিয়োগ, মশা নিধন এবং ময়লা পরিষ্কার করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নিজ নিজ কাজ করার জন্য পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কারাধ্যক্ষ মো. শফিকুল আলম, ‘নতুন আধুনিক কারাগার নির্মাণ প্রকল্পটি গত ১৫ বছরে বাস্তবায়ন না হওয়ায় বন্দীদের স্থানসংকুলানের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একজনের জায়গায় পাঁচজন হলে আমাদের করার কিছু থাকে না।’

জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, কারাগারের সার্বিক সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব সমস্যা সভার কার্যবিবরণীতে লিখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো হবে। গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল হাশেম খান জানান, আর্থিক বরাদ্দ না দেওয়ায় ভূমি, মাটি কাটা ও সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার পরও গত ১৫ বছরে জেলা কারাগারটি নির্মিত হয়নি।

– প্রথম আলো