মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিন মামলায় মাহমুদুর রহমানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।

স�প্রতি বন্ধ করে দেওয়া আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন শুনানি করেন তার আইনজীবীরা ।

শুনানি শেষে তা নাকচ করেন ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইসমাইল হোসেন।

উত্তরা থানায় দায়ের করা নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা, বিমান বন্দর থানার উত্তরা ষড়যন্ত্রের অভিযোগের রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং কোতয়ালি থানার পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় মাহমুদুরের জামিন চাওয়া হয়।

গত ২০ জুন তেজগাঁও থানায় দায়ের করা পুলিশের উপর হামলা ও তাদের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় একই বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করেন।

এদিকে বিমানবন্দর থানার মামলায় চারদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মঞ্জুর মোর্শেদ মাহমুদুরের বিরুদ্ধে আর কোন রিমান্ড না চেয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।

মহানগর হাকিম মোস্তফা শাহরিয়ারের আদালতে এ মামলায় মাহমুদুরের পক্ষে দুটি আবেদন করা হয়।

একটি হচ্ছে, কারাগারে মাহমুদুরের চিকিৎসা এবং প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা দেওয়ার আবেদন। হাকিম শুনানি গ্রহন শেষে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মাহমুদুর বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন তাকে তিন দিন গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে এবং র‌্যাব পরে বুধবার সকাল ৭ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রিমান্ডের সময় চোখ বেঁধে এমন এক জায়গায় নিয়ে যায় যেটি কবরের মতো জায়গা। র‌্যাব তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হাতে হাতকড়া লাগিয়ে নির্যাতন চালায়।

এদিকে তার আইনজীবী সাবেক এ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বিচারককে জানান, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে তাকে যৌথ সেলে নিয়ে প্রচন্ড নির্যাতন করা হয়েছে।