বছরের ৬ মে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন। ৬৫০ আসনের হাউজ অব কমন্সের নির্বাচনে এবার বাঙালি প্রার্থী ১২ জন। তাদের অন্যতম রুশনারা আলী। গত ১৩ মার্চ লন্ডনের বাঙালিপাড়া ব্রিকলেন থেকে শুরু করেন আনুষ্ঠানিক প্রচার। ওই প্রচারের অংশ হিসেবেই জোগাড় করা হয় একটি রিকশা। রুশনারা আলীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে এসেছিলেন মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড। একপর্যায়ে তিনি চড়ে বসেন রিকশাচালকের আসনে। রিকশার যাত্রী নিজ দলের এমপি প্রার্থী রুশনারা আলী। পোজ দেন সাংবাদিকদের। যুক্তরাজ্যে নির্বাচনী প্রোপাগান্ডা শুরু হলেও পত্রপত্রিকা কিংবা টেলিভিশনে চোখ না রাখলে বোঝা কঠিন যে, নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। তবে ব্যতিক্রম একটি নির্বাচনী এলাকায়। এটি লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন। যুক্তরাজ্যে যে নির্বাচন কিছুটা টের পাওয়া যায় কেবল এই আসনে। এই আসনের ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটারই বাঙালি। এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য যোগ হয়েছে আনন্দের নতুন মাত্রা। এই আসন থেকেই যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে হাউজ অব কমন্সে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী। কারণ এই আসনে ৬ প্রার্থীর সবাই বাংলাদেশী। তারা হলেন­ লেবার পার্টির রুশনারা আলী, কনজারভেটিভ পার্টির জাকির খান, লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির আজমল মাশরুর, রেসপেক্ট পার্টির আবজল মিয়া, গ্রিন পার্টির ফরিদ বখত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার এম এ মালিক।
এ ছাড়া নির্বাচনে অন্য কয়েকটি আসন থেকে বাঙালি প্রার্থীরা হলেন- লেবার পার্টির সাফোক ওয়েস্ট থেকে অহিদ আহমদ, কার্সলটন অ্যান্ড ওয়েলিংটন থেকে ড. শফি খান এবং ওয়াইল্টশায়ারের ডেবিজেস থেকে জুনাব আলী। ম্যানচেস্টারের ওল্ডহ্যাম থেকে রেসপেক্ট পার্টির শাহিদ মিয়া, প্লাইড কিমেরু পার্টি প্রার্থী হিসেবে কার্ডিফ ওয়েস্ট থেকে মোহাম্মদ শেরুল ইসলাম এবং পপলার লাইম হাউজ থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন কবির মাহমুদ। নির্বাচনে ১২ জন বাঙালি প্রার্থীর ১১ জনের পৈতৃক নিবাস সিলেটে, একজনের কুমিল্লায়। -বাংলা এক্সপ্রেস ডেস্ক, ১৬ এপ্রিল ২০১০।