দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবদুল মোতালিবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই অভিযোগে তাৎক্ষণিক বদলি (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে বুকিং সহকারী আসাদুজ্জামানকে। রেলওয়ে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা জোনের বাণিজ্যিক শাখা থেকে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামগামী (টু ডাউন) চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে রাত একটায়। এই ট্রেনে করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও কুলিয়ারচরের মৎস্য আড়তের মাছ চট্টগ্রামে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় বিদেশে। ভৈরব স্টেশনে ট্রেনটির যাত্রাবিরতির সময় ১২ মিনিট। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই নির্ধারিত সময়ে মাছ লোড করতে পারছেন না। ১২ মিনিটের পরিবর্তে ৩০ মিনিট সময় নিচ্ছেন। ফলে ট্রেনের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে নিয়মিত ভোগান্তিতে। বিষয়টি সমাধানে স্টেশন মাস্টার ও বুকিং সহকারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা পালনে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ ড্রাম মাছ ট্রেনে লোড হয়ে থাকে। ১২ মিনিটে এই পরিমাণ মাছ কোনোভাবেই লোড করা সম্ভব নয়।

সদ্য বহিষ্কৃত ভৈরব স্টেশন মাস্টার আবদুল মোতালিব বলেন, ‘মাছ লোড করা নিয়ে আমাকে সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়। বেশি সময় লাগলে ঊর্ধ্বতনদের ধমক খেতে হয়। আবার নির্ধারিত সময় ট্রেন ছাড়তে গেলে ব্যবসায়ীরা তেড়ে আসেন। পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমার চাকরিটাই চলে গেল।’

জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা জহিরুর ইসলাম বলেন, ট্রেনের যাত্রাবিরতির সময় না বাড়ানো পর্যন্ত স্টেশন মাস্টারের উচিত ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রেনটি ভৈরব স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর বুকিং মাস্টারের উচিত ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কী পরিমাণ মাছ লোড করা যাবে সেই অনুযায়ী বুকিং নেওয়া। তিনিও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই ব্যর্থতার দায় তাঁদের নিতেই হবে।

– প্রথম আলো