সরকারি দলের একাধিক সাংসদ ১০০১ সিসি থেকে ১৫০০ সিসি গাড়ীর উপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতীয় সংসদের বুধবারের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় সরকার দলীয় সাংসদরা এ আহ্বান জানান।

একই সঙ্গে তারা ১৫০১ সিসি থেকে ১৬৫০ সিসি পর্যন্ত গাড়ীর শুল্ক হ্রাস প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন।

ময়মনসিংহ-১০ আসনের সাংসদ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, নির্দিষ্ট একটি সিসির গাড়ীর শুল্ক অস্বাভাবিক হ্রাস করার সুযোগে দুজন ব্যবসায়ী ২ হাজার গাড়ী আমদানি করছেন। এতে করে সরকার চার’শ কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে।

গিয়াসউদ্দিন আহমেদ এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির ওপর কর বৃদ্ধির যে সুপারিশ করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ।

একই দাবি উত্থাপন করেছেন রাজবাড়ি-২ আসনের সাংসদ জিল্লুল হাকিম। তিনি রেল যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য এ প্রতিষ্ঠানকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক করে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব দেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী এনামুল হক বলেন, সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি চলমান বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকেও বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। এরই মধ্যে ভারত থেকে ২৫০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদনির প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

আগামী তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সঞ্চয়পত্রের ওপর কর আরোপের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন।

বাজেট আলোচনায় আরো অংশ নেন আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, গোলাম দস্তগীর গাজী, ফরিদা আকতার, কে এম খালিদ, শফিকুল আজম খান, অপু উকিল প্রমুখ।