দিল্লীর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক রীতি নীতি তোয়াক্কা না করেই ভারত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করতে চায় ! সুনামগঞ্জে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় বক্তারা বলেছেন, এখন ব্যারেজ-ড্যাম নির্মাণের ধারণা দেয় ইঞ্জিনিয়ার। তারা কেউ সমাজবিজ্ঞানী নন। যার ফলে বাঁধ বা ড্যামের কারণে প্রাণ ও প্রকৃতির উপর আগামীতে কি পার্শপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তা নিয়ে তারা ভাবেন না। ভারত সরকার আন্তর্জাতিক রীতি নীতির তোয়াক্কা না করেই টিপাইমুখ বাধ নির্মাণ করতে চাচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পৌর মার্কেটে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাওরাঞ্চলবাসী আয়োজিত মতবিনিময়সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভার প্রধান বক্তা হাওরাঞ্চলবাসীর উদ্যোক্তা বিশিষ্ট সাংবাদিক শামসুদ্দোহা শোয়েব বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত কোন গবেষণা ছাড়া ভারতের টিপাইমুখ বাঁধের প্রতিবাদে নিজ দেশেই আন্দোলন হচ্ছে। বাংলাদেশের সর্বত্র বিশেষ করে হাওরাঞ্চলের মানুষ বাঁধের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার কথা জেনে জেগে ওঠেছে। বাঁধের প্রতিবাদে মানুষ জেগে ওঠায় বিশ্বব্যাংক ভারতের টিপাইমুখ প্রকল্পে ঋণ দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। কাপ্তাই ড্যামের ফলে যেভাবে ৪০ হাজার চাকমা উদ্বাস্তু হয়েছে টিপাইমুখ হলে একইভাবে ২ কোটি হাওরবাসীর উদ্বাস্তু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, দিল্লী কেন্দ্রিক ভারত সরকার সম্পদের উৎসভূমি উত্তরপূর্ব ভারত থেকে টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে দিল্লীর উন্নয়ন ও উচ্চমূল্যে থাইল্যান্ডে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে ১০০০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। অথচ উত্তরপূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যেই প্রায় ৪৫০ মেঘাওয়াট বিদু্যৎ ঘাটতি রয়েছে। তাই অবিলম্বে এ বিষয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের সাধারণ জনগণ ও সুনামগঞ্জের হাওরভাটির জনগণকে নিয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। কারণ টিপাইমুখের কারণে হাওরাঞ্চলকে মরুভূমি করা যাবেনা।

কবি ইকবাল কাগজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমরেড এডভোকেট আফিজ মিয়া, কবি কুমার সৌরভ, সাংবাদিক মফর ফোরকান, প্রভাষক মোঃ এনামুল কবীর, উন্নয়নকর্মী সালেহীন চৌধুরী, সাংবাদিক এমরানুল হক চৌধুরী, শামস শামীম, জাকারিয়া সুমন, গাজী আফজাল, শাহরিয়ার জ্যাকি প্রমুখ। মতবিনিময় শেষে কবি ইকবাল কাগজীকে আহবায়ক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ‘আমরা হাওর অঞ্চলবাসী ‘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

## বার্তা প্রেরক শামস শামীম, সুনামগঞ্জ