কিশোরগঞ্জের নিকলীতে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আটটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আজ শুক্রবার সকালে নিকলী উপজেলা সদরের টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আলামিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে নিকলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আখতার হোসেন, কনস্টেবল আ. মান্নান, কনস্টেবল তাজুল ইসলাম, ওসমান (৩৫), কাওসার (২৫), মরম আলী (৩৫) ও শামসুদ্দিনকে (২৮) নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং আলফাজ মিয়াকে (২৫) বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিকলী-ভৈরব সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সভাপতি মো. খোকন মিয়া সংগঠনের দুই লাখ টাকা আত্মসাত্ করেছে এমন অভিযোগে সিএনজিচালকদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাধে। গত সপ্তাহে সংগঠনের সভায় খোকনকে বাদ দিয়ে মো. খুরশেদ মিয়াকে সিএনজি স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সভাপতি করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খোকনের সঙ্গে একজন চালকের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ সকালে খোকন তাঁর লোকজন নিয়ে গার্লস স্কুল মোড় এলাকায় স্ট্যান্ডে গিয়ে খায়রুল ইসলাম নামের একজন চালককে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

নিকলী নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আ. রহমান জানান, প্রতিদিন সিএনজিমালিকদের এক হাজার টাকা করে খোকনকে চাঁদা দিতে হয়। তিনি সমিতির টাকা আত্মসাত্ করেছেন। তাই তাঁকে সংগঠনের সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়। এর পরই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালান। নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ আটটি গুলি ছোড়ে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

– prothom-alo