পাখিটির নাম পাতি কেস্ট্রেল। বৈজ্ঞানিক নাম Falco tinnunculus। পরিযায়ী শিকারি পাখি। শীতের সময় আসে আমাদের দেশে। ধানখেত, মাঠের কাছের কোনো গাছে কিংবা বিদ্যুতের তারে বসে থাকে শিকার ধরার জন্য। দাগি পিঠ ও হলুদ পায়ের এই শিকারি পাখি একাকী কিংবা জোড়ায় চরে বেড়ায়।
মেয়েপাখি আকারে বড়। দেহের পালক বাদামি বা পাটকেলে। মরচে রঙের ছিট আছে। লেজের আগায় কালো বলয় আছে। পা ও আঙুল হলদে। নখর কালচে। এই পাখির প্রজননভূমি হিমালয়ের গিরিচূড়ায় ও পাকিস্তানের পার্বত্য এলাকা। খাড়া পাহাড়ের ফাটল ও পরিত্যক্ত দালানের ফোকরে খড়কুটো, লতাপাতা দিয়ে বাসা বাঁধে। কখনো কাকের খালি বাসায়ও ডিম দেয় এরা। ডিম হলুদ, সংখ্যায় তিন থেকে ছয়টি। ২৭ থেকে ২৯ দিনে ডিম ফোটে।
শীতের সময় সিলেট, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগেই পাখিটি দেখা যায়। তৃণভূমি, আবাদি জমি ও পাহাড়ের ঢালে বিচরণ করতে ভালোবাসে। খাদ্যতালিকায় রয়েছে বোলতা, উইপোকা, ছোট ইঁদুর, টিকটিকি, ছোট পাখি, পাখির ছানা ইত্যাদি।
-সৌরভ মাহমুদ