জন্ম বিংশ শতাব্দির সেই ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩ আগস্ট । নিকলী উপজেলা সদর ঐতিহ্যবাহী কারারবাড়ির মাতুলালয়ে ।কারার মরহুম রইছ উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন তার মাতামহ । তিনি আজীবন নিকলী সদর প্রথমে ইউনিয়ন বোর্ড এবং পরবর্তীতে ইউনিয়ন কাউন্সিলর-এর চেয়ারম্যান ছিলেন ।পৈত্রিক বাড়ি ভৈ্রব উপজেলার মানিকদী নামক গ্রামে ।পিতামহ সাঈদ উদ্দিন খান (গিরানী মিয়া)ছিলেন একজন স্ব্নামধন্য তালুকদার ।তার পূর্ব পুরুষ অজর উদ্দিন খান ছিলেন একজন সেনা নায়ক ।সুদূর কাবুল থেকে আগত এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম অধিবাসী ছিলেন ।তার অধস্হান নাজির সরকার এর বংশ লতিকা নজর মামুদ এবং গিরানী মিয়া,অজর মিয়া,ফিরু মিয়া তাদের বংশধরগণই বর্তমানে ‘ষাঁ-খাঁন-খান’ ইত্যাদি নামে বর্তমান বংশের পদবীতে ভৈ্রবের মানিকদী গ্রামে খ্যাত এবং পরিচিত ।
প্রিন্স রফিক খান সেই ‘খান’ বংশধারার একজন কৃতি সন্তান ।পিতা মরহুম সিরাজ উদ্দিন খান ।মাতা হাসিনা বেগম ।তিনি বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরশহরের হয়বতনগর এলাকায় বসবাস করেন । হয়বতনগর ফিসারী রোডস্হ মসজিদ-ই-এলাহী্র তিনি সাধারন সম্পাদক ।কিশোরগঞ্জ জেলা সদর শহরে যে ক’জন সাহিত্য সংগঠক সাহিত্য সম্মেলন কিংবা ছড়া উৎসব করে মাতিয়ে রেখেছেন এই কাব্যিক শহর কিশোরগঞ্জ প্রিন্স রফিক খান তাদের মধ্যে অন্যতম এবং উল্লেখযোগ্য ।
কিশোরগঞ্জ তখন মহকুমা ।সর্ব প্রথম সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে ।সেই থেকে ধারাবাহিক সর্বশেষ সাহিত্য সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে । ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৫ বছর মহকুমা পরবর্তী জেলা শহরে উন্নীত হলেও তখনও কোন সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি ।এই দীর্ঘ ৫৫ বছর পর “কিশোরগঞ্জ জেলার সর্ব প্রথম সাহিত্য সম্মেলন” অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ।এই সাহিত্য সম্মেলনের প্রথম বাস্তবায়ন কমিটির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন প্রিন্স রফিক খান ।মো.সাইদুর সম্পাদিত ‘কিশোরগঞ্জের ইতিহাস’নামক গ্রন্হের ২৫১ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ্য আছে-কিশোরগঞ্জ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জে এ সাহিত্য সম্মেলন ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয় ।হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ী প্রাঙ্গনে এই সম্মেলন মোট ৪টি অধিবেশনে প্রবন্ধ পাঠ,সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ অন্তর্ভূক্ত ছিল ।
দীর্ঘদিন পরে কিশোরগঞ্জে এই সাহিত্য সম্মেলন এক ঐতিহাসিক পথ পরিক্রমার নতুন সংযোজন বলে এ গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে । প্রিন্স রফিক খান একজন সেরা সংগঠক ও সাহিত্য সম্পাদক । কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত কিশোরগঞ্জ জেলা ইতিহাস প্রণয়ন কমিটি,প্রকল্পের (নিয়োগ প্রাপ্ত)একজন লেখক-গবেষক ও সদস্য ।বর্তমানে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর লোক সংস্কৃতি সমীক্ষা প্রকল্পের একজন (নিয়োগ প্রাপ্ত)গবেষক-সংগ্রাহক ও লেখক । সদস্য বাংলা একাডেমী,ঢাকা ।বাংলাদেশ লেখক কল্যাণ সমিতি ঢাকা এর কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ন-সম্পাদক,জাতীয় সাহিত্য পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ।
কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক এসোসিয়েশন, কিশোরগঞ্জ এর সভাপতি ।রাজ্জাক-সখিনা কল্যাণ ট্রাস্ট এর ত্রৈ-মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘আলোকিত কিশোরগঞ্জ’ এর সম্পাদক ।সদস্য সচিব ।রাজ্জাক-সখিনা কল্যাণ ট্রাস্ট ।আলহাজ্ব আবদুল কদ্দুছ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য । কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরী এর সদস্য ।বৃহওম ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ।নিকলী প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ।নিকলী সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ।নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজ এর (প্রাক্তন) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও সদস্য সচিব । নিকলী সাংবাদিক সৈয়দ নুরুদ্দিন স্মৃতি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা । নিকলী সিরাজ স্মৃতি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক । নিকলী থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক পত্রিকা ‘হাওর তরঙ্গ’ এর প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা ।বাংলাদেশ জাতী্য হাওর উন্নয় পর্ষদ কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ন-আহব্বায়ক।পি এস টি সি কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্হ্য অধিকার প্রকল্প ‘জেলা স্বাস্হ্য অধিকার আন্দোলন’ কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির তিনি উপদেষ্টা ।
প্রিন্স রফিক খান কিশোরগঞ্জ জেলার একটি অনিবার্য নাম ।তিনি নিজ বাসগৃহে অসংখ্য তথ্য-উপাও ও স্মারক স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে চান ।তিনি একজন দক্ষ ও সফল আলোক চিত্র শিল্পও বটে ।তার সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন আলোকচিত্র ও অনেক গুণীজনদের জ়ীবনী তথ্য । প্রিন্স রফিক খানের মেধা ও মননে এ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের আদি-অন্ত সম্পর্কে দখল রয়েছে অনেকটা ।তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার একজন গর্বিত সন্তান ।
ths r posers, guys plz find da ppl who truly can think………..