আবিদ আনোয়ার বাংলাদেশের একজন কবি ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অস্ত্রহাতে অংশ সক্রিয়ভাবে গ্রহণ করেছিলেন।

জীবনবৃত্তান্তঃ  জন্মস্থান ও জন্মতারিখ : কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ, ২৪শে জুন ১৯৫০। পিতা : মোহাম্মদ আজিমউদ্দিন; মাতা : হাসিনা বেগম; স্ত্রী : তাসলিমা আক্তার। শিক্ষা : মাধ্যমিক : কটিয়াদী হাই স্কুল (১৯৬৬); উচ্চ মাধ্যমিক : ঢাকা কলেজ (১৯৬৮); স্নাতক সম্মান (রসায়ন শাস্ত্র) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭১); স্নাতকোত্তর (থিসিস, রসায়ন শাস্ত্র) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭২); স্নাতকোত্তর (থিসিস, সাংবাদিকতা) : মিসৌরী বিশ্ববিদ্যালয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৯৮৭)। পেশা : সাংবাদিকতা ও চাকরি। সম্পাদক, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), মহাখালী, ঢাকা।

প্রকাশিত গ্রন্থ

কবিতা

প্রতিবিম্বের মমি (১৯৮৫);
মরাজোছনায় মধুচন্দ্রিমা (১৯৯২);
স্বৈরিণীর ঘরসংসার (১৯৯৬);
খড়বিচালির বৃক্ষজীবন (২০০১)।

প্রবন্ধ-গবেষণা

বাংলা কবিতার আধুনিকায়ন (১৯৯৬)।

 শিশুসাহিত্য

আগল-ভাঙা পাগল ছড়া (১৯৮৫);
সৃষ্টিছাড়া ত্রিশটি ছড়া (১৯৯৬)।

সম্পাদনা

আহসান হাবীবের শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০০)।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও কারিগরি প্রকাশনার জন্য রাষ্ট্রপতি পদক (১৯৭৯);
সাহিত্যকর্মের জন্য স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী স্মারক পুরস্কার [সৈয়দ নজরুল ইসলাম পদক] (১৯৯৭);
সাংবাদিকতা-সংক্রান্ত গবেষণার জন্য National Journalism Scholarship Society of America (Kappa-Tau-Alpha)-এর সম্মানসূচক সদস্য পদ লাভ (১৯৮৭)।

 

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

আবিদ আনোয়ার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের বিহারে অবস্থিত চাকুলিয়া ক্যাম্প থেকে বিশেষ কমান্ডো হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেন। কিশোরগঞ্জ এলাকায় ধূলদিয়া রেলসেতু অপারেশন এবং ভাঙা সেতুর পাড়ে পরবর্তী যুদ্ধ পরিচালনায় তিনি প্রভূত সাফল্য প্রদর্শন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর আবিদ আনোয়ার গণবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তৎকালীন কিশোরগঞ্জ মহকুমা (বর্তমানে জেলা) এলাকায় গণবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করেন। এ কাজে তাঁর পূর্বসূরী ছিলেন পর্যায়ক্রমে ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান ও লেফটেন্যান্ট সাদেক।