রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) ডেন্টাল চিকিৎসক পরিষদের সভাপতিকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- রামেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পদ কুমার দত্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম সিদ্দিকী লালন, ছাত্রলীগ নেতা সন্দীপ কুমার মৈত্র, কর্মী নাহিদুজ্জামান ও নির্ঝর মণ্ডল অলয়।
মঙ্গলবার রাজপাড়া থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুস্তাক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার ভাংচুরের সময় রামেক এর শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নওশাদ আলীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় করা মামলায় এদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পরে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ডেন্টাল চিকিৎসক পরিষদ সভাপতি ডা. রেজাউল করিম রকিকে রামেক সংলগ্ন ঘোষপাড়া মোড়ের রাস্তা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
রামেক শিক্ষার্থীরা জানান, স�প্রতি ডেন্টাল চিকিৎসক পরিষদের পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করা হয়।
এ নিয়ে রোববার দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ছাত্র আহত হয়। ওই সময় কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রকিকে অপহরণের ঘটনায় মঙ্গলবার কলেজে আবারো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডেন্টাল চিকিৎসক পরিষদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রামেকের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ছাত্রাবাস থেকে রকিকে অপহরণ এবং আরেকটি ছাত্রবাসে নিয়ে গিয়ে তাকে মারধর ও নেশা জাতীয় ইনজেকশন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডেন্টাল চিকিৎসক পরিষদের নেতা ডা. হাসানুল আরেফিন লিমন অভিযোগ করেন, ডেন্টাল চিকিৎসক পরিষদ দখলের উদ্দেশ্যে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহ্ আলম সিদ্দিকী লালন ও বর্তমান কমিটির সভাপতি সম্পদ কুমার দত্ত বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। স�প্রতি তারা আমাদের কমিটিকে (সভাপতি ডা. রকি ও সম্পাদক ডা. লিমন) পাশ কাটিয়ে নিজ অনুসারী ডা. আবিদ ও ডা. কমলের নেতৃত্বে পাল্টা কমিটি গঠন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তারা রকিকে ছাত্রবাস থেকে অপহরণ করে বলে ডা. হাসান অভিযোগ করেন।