ঘোড়াউত্রা ও হাটুরিয়া নদীর ভাঙ্গনে মিঠামইনের মহিষের কান্দি, চরপাড়া, ঘাগড়া, রাজিবপুর, ইটনা এলংজুরি গ্রামের শতাধিক ঘর বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে এ সকল এলাকায় স্থাপিত হাটবাজার, মসজিদ, মাদরাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মিঠামইন উপজেলা সদর রক্ষা আড়াই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বৈশাখ মাসের আগাম বন্যায় এ সকল নদী রাক্ষুসী রূপ নিয়েছে। আগাম বন্যায় ও প্রবল পানির চাপে ইটনার এলংজুরি বাজার ও সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী পাড়া, মিঠামইনের চরপাড়া, রাজিবপুর, মহিষের কান্দি, খলাপাড়া, ভরা, কাঁটখাল, কামালপুর বেড়িবাঁধসহ মিরখালী খালের দুই পাশে মসজিদ ও দুইটি পাড় সম্পূর্ণ বিলীনের পথে; এছাড়াও ঘাগড়া বাজারের পূর্ব পাশে একটি ব্রিজ বর্তমানে ২০ ফুট পানির নিচে মাটিতে পুঁতে রয়েছে। ভাঙ্গনের ফলে মিঠামইন-কাঁটখাল ডুবু সড়কের ধুবাজোড়া এলাকা ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সংযোগ ব্রিজখানির দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজটি হুমকির মুখে। অন্যদিকে মিঠামইন সদরে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ কামালপুর বেড়িবাঁধে স্পীকার এডভোকেট আব্দুল হামিদের বাড়ীর পাশে বেড়িবাঁধের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। বর্তমানে বালির বস্তা ও বাঁশের পাইলিং দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান বলেন, আমার নিজ গ্রাম মহিষের কান্দির অন্ততঃ ২ ‘শ পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে মিঠামইন বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও কামালপুর কালীপুর গ্রাম কানি হুমকির মুখে রয়েছে। এ বিষয়ে স্পীকারের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি সমন্বয়ে এসকল গ্রামে প্রতিরক্ষা দেয়াল ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে গ্রামগুলোকে বাঁচাতে হবে।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদের স্পীকার এডভোকেট আব্দুল হামিদ এ সকল ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন কালে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এসকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। হাওর অঞ্চলে নদী খনন করা একান্ত জরুরি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ভরাট হয়ে যাওয়া নদী খননের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্লুইস গেইট নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।