সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (হু) এর বরাতে জানা গেছে, বাংলাদেশে ৭ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি লোক আর্সেনিকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে। হু এটিকে বলছে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি মানুষের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হবার ঘটনা’। খবর সিএনএন-এর।
http://tech.bdnews24.com/images/imgAll/arsenic2206b.jpg
জানা গেছে, বাংলাদেশে আর্সেনিকের দূষণ বিষয়ে নতুন এক গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে বৃটিশ মেডিকেল সাময়িকী ‘দ্যা লানসেট’-এ।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, লানসেটের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ আর্সেনিক বিষক্রিয়ার মাত্রার ওপরে রয়েছে। আর এটি ঘটেছে গত এক দশক বা তারও বেশি সময় ধরেই।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, শিকাগোর একটি গবেষক দল এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে করা এ গবেষণায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন তারা।
জানা গেছে, এ সময় গবেষকরা আর্সেনিকজনিত রোগে আক্রান্ত মানুুষের মৃত্যুহার এবং টিউবয়েলের পানি পানের মাধ্যমে নতুন করে আর্সেনিক সংক্রমণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, এ সময়ে মারা যাওয়া ৫ জনের একজন সরাসরিই উচ্চমাত্রার আর্সেনিকে আক্রান্ত ছিলেন।
হু’র বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালে ভারতের ভোপালে এবং ইউক্রেনের চেরনোবিল দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের চেয়েও বেশি ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশের মানুষ।
গবেষণায় দেখা গেছে, আর্সেনিক আক্রান্ত হওয়া মানুষের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগই গড়ে দেশের অন্যান্য মানুষের চেয়ে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গবেষকরা জানিয়েছেন, আর্সেনিক আক্রান্তদের জন্য এ সমস্যা সমাধানের পথটি এখনও এক দশক দূরেই।
সংবাদমাধ্যমটির বরাতে আরো জানা গেছে, অন্যান্য স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণাতে দেখা গেছে, এখন থেকেও যদি টিউবয়েল ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয় তবুও আর্সেনিকের এই বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত হতে ২০ বছর লেগে যাবে।