‘সাধের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী’, ‘সিলেটে প্রথম আজানধ্বনি বাবায় দিয়াছে’, ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’, ‘বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি’, ‘আমি কেমন করে পত্র লিখি রে বন্ধু’, ‘প্রাণ কান্দে মন কান্দে রে’—এমন বহু জনপ্রিয় গানের সুরস্রষ্টা বিদিত লাল দাস আর নেই। আজ সোমবার ভোর পাঁচটায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
স্কয়ার হাসপাতালের কিডনি বিভাগের পরামর্শক ও বিদিত লাল দাসের চিকিৎসক আবদুল ওয়াহাব খান বলেন, ফুসফুসে সংক্রমণসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও শেষের দিকে খারাপ হতে থাকে। অবশেষে আজ সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিদিত লাল দাসের মৃত্যুতে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের আরেক শিল্পী সুজেয় শ্যাম বলেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের লোকগানের প্রচারের ক্ষেত্রে যে তিনজন গুণী মানুষ কাজ করেছেন, তাঁদের প্রথমজন হলেন আব্বাসউদ্দিন। এরপর কাজ করেছেন নির্মলেন্দু চৌধুরী ও বিদিত লাল দাস। কিন্তু বাংলাদেশের লোকগানের প্রচারের ক্ষেত্রে বিদিত লাল দাসের অবদানের মূল্যায়ন হয়নি কখনো। সুজেয় শ্যাম বলেন, ‘আজ যে আমি টুকটাক গানবাজনা করছি, এর কৃতিত্বও কিন্তু বিদিত লাল দাসের। তাঁর মৃত্যুতে আমরা মেধাবী একজন সংগীতকর্মী হারালাম। ক্লোজআপ ওয়ানের অডিশনের কাজে আমি এই কদিন খুলনা ছিলাম। সকাল ছয়টার দিকে যখন শুনতে পেলাম বিদিত লাল দা মারা গেছেন, কোনোভাবেই তা মেনে নিতে পারছিলাম না।’ সংগীতের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুরস্রষ্টা বিদিত লাল দাস সিলেটের শেখঘাট এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, নাতিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো ডট কম