অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ধূমপান ছেড়ে দেওয়া নতুন বছরের প্রধান প্রতিজ্ঞা হয়ে থাকে। কিন্তু জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহটি পার হতে না হতেই নিকোটিনের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তির কারণে অধিকাংশের পক্ষেই এ প্রতিজ্ঞা আর ধরে রাখা সম্ভব হয় না। বোঝা যাচ্ছে এ অভ্যাসত্যাগের ক্ষেত্রে  শুধু ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট নয়। বরং এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং  নিকোটিনের বিকল্প ব্যবহারই এ আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার বড় সুযোগ বলে  বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

তবে যখন চাকরিসংক্রান্ত  চাপ, জীবনযাপন পদ্ধতি এবং জীবনসঙ্গী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হতাশা ধূমপানের কারণ হয়, তখন এ থেকে বেরিয়ে আসাটা তুলনামূলকভাবে একটু কঠিনই হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়ে হিলিস  শেকসারিয়া ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথের পরিচালক পি সি গুপ্তা আইএএনএসকে  বলেন, ‘সিগারেট এবং চিবিয়ে খাওয়া যায় এমন টোবাকোর মধ্যে যে নিকোটিন থাকে  তাই মূলত এগুলোর প্রতি মানুষের আসক্তি তৈরি করে। সিগারেটের মধ্য দিয়ে  নিকোটিন মাত্র দশ সেকেন্ডের মধ্যে ফুসফুস হয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। আর  নিকোটিনের এ দ্রুত প্রভাবই সিগারেটের প্রতি মানুষের তীব্র মাত্রায় আসক্তি  তৈরি করে।’

এ অবস্থায় ধূমপান ত্যাগ করতে হলে অবশ্যই ধূমপায়ীদের পেশাদারদের সাহায্য প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেন। কারণ  এ সময় স্বাস্থ্যবিষয়ক পেশাদারদের সাহায্য এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের সাহায্যে  ধূমপান ত্যাগের সম্ভবনা দ্বিগুণ হয়। ভয়াবহ এ আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে  প্রয়োজনীয় সাহায্য নিতে কোনো লজ্জা নেই বলে উল্লেখ করেন অযোধ্যার সুপার  স্পেশিয়ালিটি হাসপাতালের পুলমোনারি মেডিসিন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের  পরিচালক বিজয় কুমার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি বছর  ধূমপানের কারণে ৫৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ৬৫ লাখ  এবং ২০৩০ সালে ৮৩ লাখে পৌঁছবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে  নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো।

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম