কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কে চলাচলকারী ঈশা খাঁ গেটলক সার্ভিসের বাসগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানোর কারণে এসব বাসের হেলপার ও কন্ডাক্টরের সঙ্গে যাত্রীদের বচসা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এগুলো কেবল নামেই গেটলক, যাত্রীসেবার কোনো বালাই নেই। প্রায় ৫০ জন বাসযাত্রী গত বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ জানিয়েছেন।ঈশা খাঁ গেটলক সার্ভিসের মালিক আলমগীর মুরাদ রেজা ও কবীর লস্কর জানান, ৩০ মিনিট পর পর স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি ছাড়ে। সব যাত্রী শেষ গন্তব্য পর্যন্ত যায় না। তাই মাঝপথে যাত্রী নেমে গেলেই হেলপাররা নতুন যাত্রী তোলে।

এ সার্ভিসের চালক জাহাঙ্গীর ও নান্টু মিয়া বলেন, ‘গাড়ির আমদানি (স্থানীয় পরিভাষা) অর্থাৎ লাভ ঠিক রাখতেই আমাদের যাত্রী তুলতে হয়।’ হেলপার খালেক মিয়া বলেন, পুরোনো গাড়ি দ্রুত চলতে পারে না। তাই যাত্রীরা মাঝেমাঝে খেপে যায়। তখন তাদের সাথে আমাদের ঝগড়া লাগে।’ কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন মানেক জানান, ‘অনিয়মের ব্যাপারে ময়মনসিংহ সমিতির সঙ্গে আলাপ হয়েছে। কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কটি পূর্ণাঙ্গভাবে মেরামত শেষ হলে পুরোনো গাড়ি তুলে দিয়ে গেটলক বাস চালু করব।’ জেলা বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চলাচলের অযোগ্য বাসগুলো মালিক সমিতিগুলো গেটলক সার্ভিসে সংযুক্ত না করলে এ সার্ভিসের মান নিয়ন্ত্রণ হয়। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় না।’