কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রাজি গ্রামে ২৬ জুন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার সময় ঘূর্ণিঝড়ে ৯১টি পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি দুমড়েমুচড়ে গেছে। কয়েকটি হাঁসের খামারের পাঁচ হাজার হাঁস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভেঙে গেছে অসংখ্যা গাছপালা। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। ইটনা উপজেলার বড়হাটি গ্রামের আবু মিয়া (৩০) ও আলী আকবর (২৮) বলেন, ‘হঠাৎ বাতাসের প্রচণ্ড শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি মাথার ওপরে ঘর নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসে আছি।’

রাজি গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার কিশোরগঞ্জ সমিতির যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন ভূঞা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে এ গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে টাকার হিসাবে এ সংখ্যা অর্ধকোটি হবে। একই গ্রামের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দ্রুত সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।

স্থানীয় রায়টুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইসহাক উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজি গ্রামের ৯১টি পরিবারের ক্ষতি হয়েছে। মোবাইলে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাহাদাত হোসাইন বলেন, জেলা প্রশাসককে ঘটনাটি জানিয়েছি।