‘আর্জেন্টিনার ’৮৬-র বিশ্বকাপ জয়ী দল নয়, ২০১০-এ বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া দলটিই সেরা।’ ম্যারাডোনার মুখে এমন কথা শুনলে মন খারাপ হতেই পারে বুরুচাগা, পম্পিডো, ভালদানো আর রুগেরিদের। কারণ, আর্জেন্টিনার এ খেলোয়াড়েরাই ’৮৬-তে দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়ে আর্জেন্টিনাকে এনে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা। ম্যারাডোনা যদি এবারের আর্জেন্টিনা দলের কোচ না হতেন, তাহলে তিনি কী পারতেন ’৮৬-র দলটিকে পেছনে ফেলতে? ম্যারাডোনা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে অনেক কাছে থেকে দেখেছি, ২০১০ সালের দলটিকে আমি প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, হলফ করে বলতে পারি, মেসি-তেভেজ-হিগুইয়েনদের এবারের দলটি সবদিক দিয়েই ’৮৬-র দলটির চেয়ে এগিয়ে আছে।’
‘এবারের দলটিকে ভালো বলতে পারেন, কিন্তু ’৮৬-র বিশ্বকাপ জয়ী দলটিকে পেছনে ফেলে কেন’—এমন প্রশ্ন আসতেই পারে সবার মনে, ক্ষুব্ধ হতে পারেন ’৮৬-র ম্যারাডোনার দলে খেলা খেলোয়াড়েরা। ব্যাপারটি বুঝতে পেরেই হয়তো ম্যারাডোনা পুরো ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করেছেন, ‘আমি ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের খেলোয়াড়দের আঘাত দিতে চাই না। ’৮৬ সালে তারা সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বজয়ী করেছিলেন। আমি বলতে চাচ্ছি, আর্জেন্টিনার এবারের বিশ্বকাপ দলটি এই প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া। তেভেজ-মেসিরা পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম। ’৮৬-র দলটিতেও প্রচুর ভালো খেলোয়াড় ছিল, কিন্তু তাঁরা ছিলেন পরিশ্রমী। তেভেজ-মেসিদের মতো এতটা প্রতিভাবান নয়।’
’৮৬-তে আর্জেন্টিনার কোচ কার্লোস বিলার্দো ম্যারাডোনার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে কিছু বলেছেন কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।