লিবিয়া থেকে গ্রিসে যাওয়ার পথে জাহাজ থেকে লাফিয়ে পড়ে সাগরে ডুবে ৩ বাংলাদেশি শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সাগরে লাফিয়ে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে আরো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। জাহাজ থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হওয়ায় আরো ২৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে গ্রিসের একটি স্থানীয় হাসপাতালে। গ্রিসের কোস্টগার্ড সদস্যরা নিখোঁজ বাংলাদেশিদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, লিবিয়ায় সহিংস ঘটনা অব্যাহত থাকায় নিয়োগদাতা কোরিয়ান দাইয়ু কোম্পানি বাংলাদেশি শ্রমিকদের গ্রিসে নিয়ে যাচ্ছিল। লিবিয়ার ত্রিপলি থেকে ২ হাজার ১০৪ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে দু’টি জাহাজে করে গ্রিসের ক্রিট আইল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। ক্রিট আইল্যান্ডের সৌদা পোর্টে পৌঁছানোর আগেই জাহাজ থেকে লাফিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ৩ জন সাগরে ডুবে মারা যায়। এরা সবাই লিবিয়ায় নিয়োগদাতা কোরিয়ান কোম্পানি দাইয়ুতে কাজ করতো।

এদিকে রোববার পর্যন্ত লিবিয়া থেকে আরো ৪৯৮ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৫৩ জন মিসর হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আরেকটি ভাড়া বিমানে গ্রিসের ক্রিট আইল্যান্ড থেকে ৪৪৫ জন লিবিয়া থেকে দেশে পৌঁছান। লিবিয়া থেকে প্রায় ২৭ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। এরা সবাই মিসর, তিউনিসিয়া ও গ্রিসে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে রোববার পর্যন্ত দেশে পৌঁছাতে পেরেছেন ৪ হাজার জন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, রোববার ও সোমবার দু’দিনে লিবিয়া থেকে আরো ১ হাজার ৩১১ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এদের মধ্যে তিনটি ভাড়া করা বিমানে তিউনিসিয়া থেকে সোমবার সকালে পৌঁছাবেন ৫২২ জন। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টায় ভাড়া করা দু’টি বিমানে তিউনিসিয়া থেকে দেশে পৌঁছবেন ৫২৬ এবং বুধবার আরো একটি বিমানে পৌঁছাবেন ২৬৩ বাংলাদেশি।